ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওরাই এখন ভারতের এজেন্ট হতে ধর্না দেয় ॥ ও কাদের

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১২ জুন ২০১৫

ওরাই এখন ভারতের এজেন্ট হতে ধর্না  দেয় ॥ ও কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ইউরোপের আদলে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। এটি কার্যকর হলে ইউরোপের দেশগুলোর মতো এ চার দেশে সীমানা থাকবে না। সহজেই এক দেশের মানুষ আরেক দেশে যেতে পারবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সঞ্চালনা করবেন ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচন হলে গত ২৫ বছরে ৫০জন ভিপি, জিএস নির্বাচিত হতো। কিন্তু বছর পেরিয়ে, দশক পেরিয়ে দুই যুগ হলেও ডাকসু নির্বাচন বন্ধ কেন? ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলে প্রশাসনের ক্ষমতার সীমানা সঙ্কচিত হবে-এ শঙ্কায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ কিনা জানতে ইচ্ছা করে। মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষক রাজনীতিতে ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতির মধ্যে শিক্ষক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। শুধু ছাত্র নেতাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। অনেক শিক্ষক ছাত্ররাজনীতিতে নাক গলায়। প্রশাসনে পদ পাওয়া এবং রক্ষার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে। এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগে যারা আওয়ামী লীগকে ভারতের এজেন্ট বলত তারাই এখন ভারতের এজেন্ট হওয়ার জন্য ধর্না দিয়ে বেড়ায়। যাদের মনে ভারত ভীতি ছিল তারা এখন ভারত গীতিতে ব্যস্ত। সকালে ভারতের দূতাবাস খোলার আগে বিএনপির সিনিয়র বুদ্ধিজীবী নেতাদের হাজিরা দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি বলে-ঈদের পর, পরীক্ষার পর আন্দোলন করবে। এ বছর না পরের বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? এখন তারা জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশের রাজনীতি শুরু করেছে। ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা কেউ সোহাগ-নাজমুলের ক্যাডার নও। তোমরা বঙ্গবন্ধুর ক্যাডার, শেখ হাসিনার ক্যাডার। নেতাদের চামচামি করে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হবে নিজের যোগ্যতা আর মেধার বলে। এসময় তিনি দ্রুত ঢাবি শাখার কমিটি ঘোষণার আহ্বান জানান। সমাবেশে এইচ. এম. বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, কাউকে বাদ দেয়া কিংবা কাউকে উপরে ওঠানোর জন্য ছাত্রলীগ সম্মেলন করে না, ছাত্রলীগ সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য। সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ, বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ সকলের সঙ্গে আলোচনা করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।
×