ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি হত্যার হুমকি, বিটিআরসি অসহায়!

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ জুন ২০১৫

মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি হত্যার হুমকি, বিটিআরসি অসহায়!

ফিরোজ মান্না ॥ তথ্যপ্রযুক্তি মানুষকে দিয়েছে কাজের গতিÑ আবার বাড়িয়েছেও দুর্গতি, ভয়ভীতি। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু এর উল্টোচিত্রও ভয়াবহ। মানুষের শান্তির ঘুমকেও হারাম করে তুলেছে তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিনিয়ত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের সামাজিক পারিবারিক জীবনকে বিষাক্ত করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকা- পারিচালিত হচ্ছে বেপরোয়াভাবে। টেলিফোন করে বিরাট অঙ্কের চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে। তুলে নিয়ে যাওয়া হবে ছেলে মেয়েকে। গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার মতো ভয়াবহ হুমকি মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে অস্থির করে তুলেছে। টেলিফোন গ্রাহকদের এমন অবস্থায় বিটিআরসি অপারগের ভূমিকায় রয়েছে। খোদ বিটিআরসির এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা পর্যন্ত শিকার হয়েছেন এমন হুমকির। এরপরও বিটিআরসি কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তথ্যপ্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থারই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। এ জন্য সারাদেশেই মোবাইল ফোন গ্রাহকরা চরম আতঙ্কে ভুগছেন। জানা গেছে, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের কাছে অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে চাঁদা দাবি হরহামেশাই চলছে। দেশ ও বিদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব কল আসছে। কলগুলোর মাধ্যমে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা ডজন খানেক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি। আবার পুলিশ বা র‌্যাবকে জানালে পরিবারের লোকজনসহ হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ফোন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। কারণ ইন্টারনেটভিত্তিক কলগুলো তারা কোনভাবেই শনাক্ত করতে পারছেন না। বিটিআরসিতেও বিষয়টি শনাক্ত করার উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র নেই। বিটিআরসি এসব কল ফিল্টার বা শনাক্ত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তার আগে এমন কল ফিল্টার করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে, (আইআইজি), ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ), ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) ও মোবাইল অপারেটর (এএনএস) ক্যারিয়ারদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, দেশ বা বিদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেসব কল আসছে সে কলে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করে করা হচ্ছে। আবার সফটওয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন অ্যাপস। অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে অন্য জনের গলার স্বর পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলা হচ্ছে। অনেক সময় নিজের ইচ্ছেমতো নম্বর তৈরি করে নিচ্ছে। দেশের মধ্য থেকেও কল দিলেও বোঝা বা ধরার কোন ক্ষমতা নেই যে, কে কল করেছে। ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করে ভয়েসে নিয়ে আসছে। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আহসান হাবিব জনকণ্ঠকে জানান, নো নম্বর বা তৈরি করা নম্বর থেকে যেসব কল আসছে তা রোধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এটা রোধ করতে হলে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি বসাতে হবে। বিটিআরসি সেই কাজ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের কলের মাধ্যমে আমাকেও বেশ কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ হুমকিকে কোন পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন নেই। পাত্তা দিলেই পেয়ে বসবে। উল্টো তাদের কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করে দিলে আর কোন দিন ফোন করবে না। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার জনকণ্ঠকে বলেন, ভিওআইপি বা আইপি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো কল নম্বর তৈরি করা যায়। আর এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলছে সাইবার ক্রাইম। এটা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এখান থেকে আমিও মুক্ত হতে পারিনি। আমাকে কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ বার এ ধরনের নম্বর থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা দাবিসহ হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিটিআরসি এসব কল ইচ্ছে করলেই ব্যবহার বন্ধ করতে পারে। কিন্তু তারা তা করবে না। এসব কল বন্ধ হলে তাদের অনেকের প্রতিমাসে বিশাল অঙ্কের টাকার ক্ষতি হবে। তাই তারা এটা বন্ধ করবে না। ইন্টারনেটসহ সব ধরনের ক্যারিয়ারের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। কেন তারা এটা করতে পারবে না। অবশ্যই তারা পারে। তাদের এই জঘণ্য ভূমিকার কারণে আজ হাজার হাজার মানুষ সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধারীর হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দেশের মানুষকে কেন এমন এক পরিস্থিতি ফেলে তারা নির্লিপ্ত রয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমরা বার বার বিভিন্ন মহলে বিটিআরসির ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। দেশের মানুষ জানেও না কোন মোবাইল অপারেটর কোন প্যাকেজ চালু করছে, এতে গ্রাহকের কি উপকার হচ্ছে? বিষয়টি গ্রাহকের কোন কাজে লাগে না। কাজে লাগে বিটিআরসির। কারণ ওখানেই নানান কিছুর আদান-প্রদান। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না। ব্যতিক্রম শুধু আমাদের দেশে। মোবাইল ফোনে এখন যা হচ্ছে তাতে দেশের মানুষের মোবাইল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সরকার সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই জায়গায় সরকারেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সব কিছুকে ম্লান করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম জনকণ্ঠকে বলেন, আইপি ফোন কল শনাক্ত করা কঠিন। কারণ এই ফোনে এক ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করে র‌্যান্ডম কল নম্বর তৈরি করা যায়। পরবর্তীতে ওই নম্বরগুলোতে কল ব্যাক করলে কল ঢুকবে না। কারণ ওই নম্বরগুলো ওভাবেই তৈরি করা হয়। দেশে আইপি ফোনের বেশ কয়েকটি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই লাইসেন্সগুলো দেয়ার আগে সেফটি সিকিউরিটির কথা চিন্তা করা উচিত ছিল। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে চিন্তা করা প্রয়োজন যে, এটা গ্রাহকদের জন্য কতখানি নিরাপদ বা কতখানি বিপজ্জনক। তবে হ্যাঁ আইপি ফোন ব্যবহার করে কম খরচে গ্রাহক কথা বলতে পারছেন। কিন্তু উল্টো দিকে এর বিপদও অনেক রয়েছে। কে ফোন করছে তা ধরা মুশকিল। বিটিআরসি বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না। দেশের ভেতর থেকে কল করে যাচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে। একটা গ্রুপ প্রতিনিয়ত তালিকা তৈরি করে কল দিচ্ছে। দিনে একশ’ জন মানুষকে কল করে চাঁদা দাবি করলে ৫ জনে তো ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বিনা চালানে বিরাট অঙ্কের টাকা হাতে চলে যাচ্ছে। এটাই ওদের বড় লাভ। যদি এদের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে হয়তো এমন অনাক্সিক্ষত কল থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আর এটা করতে হবে বিটিআরসি ও পুলিশের পক্ষ থেকে। তাহলেই যারা কল করছে তারা ভয় পাবে। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন সাব্বির জনকণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের অনাক্সিক্ষত কল বন্ধ করতে বিটিআরসির কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত। কারণ দেশের মানুষকে এমন এক ভয়ের মধ্যে রেখে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা চলতে পারে না। দেশের ভেতর থেকে যে কোন ক্যারিয়ার থেকেই কল করলে অবশ্যই তা বিটিআরসি জানতে পারবে। বিদেশ থেকেও কল এলে বিটিআরসি সেটাও জানতে পারবে। তবে ইউজার পর্যন্ত হয়তো যেতে পারবে না। তবে কোন দেশ থেকে বা কোন স্থান থেকে কল এসেছে সেই পর্যন্ত বিটিআরসি ধরতে পারবে। তবে ব্যবস্থা নিতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। দেশের বহু মানুষ আইপি কলের মাধ্যমে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন, এটা বিটিআরসির জানা। এরপরও কেন বিটিআরসি-এর বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে না তাই নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। কখনও সুব্রত বাইন কখনও শাহাদতের নামে বিরাট অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। অনেকে ভয়ে নানা মাধ্যমে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকে চাঁদা না দিয়ে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আইপি ফোনের মাধ্যমে বলা হচ্ছে, আমাদের সহযোগীরা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হচ্ছে আবার কেউ গ্রেফতার হচ্ছে। তাদের জন্য টাকার প্রয়োজন, টাকা না দিলে পরিণাম ভাল হবে না। এমন সব ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা। সহযোগীদের সাহায্যের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। আপনার কাছে চাই এক লাখ টাকা। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেবেন। তবে পুলিশ বা র‌্যাবকে জানাবার চেষ্টা করবেন না। তা হলে প্রাণটাই চলে যাবে। কয়েকটি থানায় এমন হুমকির জন্য বেশ কয়েকটি জিডি হয়েছে। এখান থেকে বাদ পড়েননি প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, অধ্যাপক, আইনজীবী, সাংবাদিক, বড় চাকরিজীবীসহ বিত্তবান মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককেও একইভাবে ফোনে চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়েছে। প্রাণভয়ে ওই শিক্ষক শাহবাগ থানায় জিডি করেছেন। একই হুমকি নিয়ে কাফরুল থানায় জিডি করেছেন এক আইনজীবী। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ অধিকাংশ ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র এ কাজটি করে যাচ্ছে। তাদের অস্ত্র শুধু মোবাইল ফোন। পুলিশের এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ চক্রটিকে ফালতু বলে উল্লেখ করেন। তিনি মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে (ডিবি) অবহিত করার অনুরোধ জানান। পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে ডিএমপি সদা সতর্ক রয়েছে। এর সঙ্গে কারও জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রভাবশালী হলেও তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে আসল চাঁদাবাজদের (পেশাদার সন্ত্রাসী চক্র) উৎপাত একেবারে কমেছে এমনটা বলা যাবে না। যাদের নামে চাঁদাবাজি চলছে তারা হলোÑ শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত (বিদেশে আত্মগোপনকারী), ফার্মগেটের সুইডেন আসলাম (বর্তমানে কারাগারে) ও আশিক (বিদেশে আত্মগোপনে), কাফরুলের কিলার আব্বাস (বর্তমানে কারাগারে), পল্লবীতে মুসা (বিদেশে আত্মগোপনে), মোহাম্মদপুরে নবী হোসেন (বিদেশে আত্মগোপনে) ও মতিঝিলের মানিক, কলকাতার কারাগারে আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের নামে মোবাইলে চাঁদাবাজির কথা বলা হলেও আসলে এই সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা এর সঙ্গে খুব একটা জড়িত নয়। একটি চক্র গড়ে উঠেছে যারা এসব সন্ত্রাসীর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় করছে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপনস টিম’ (সিএসআইআরটি) একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। কম্পিউটার ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে এই ওয়েবসাইট কাজ করছে। এই ওয়েবসাইটটি চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত দুই বছরে এই ওয়েবসাইটি সাইবার অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখছে। এই ওয়েবসাইটে সাইবার অপরাধের একটি পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। এখানে বিশ্ব সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইমেনটেক’র (নরটন এন্টি ভাইরাস নির্মাতা) একটি লিংক রয়েছে। অপর একটি লিংকে দেখানো হয়েছে বিশ্বে সাইবার হুমকির পরিসংখ্যান। দেশভিত্তিক ওই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে। তবে সাইবার হুমকির দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনও গ্রীন লেভেলে রয়েছে। এখানে ১১৬ হোস্ট আছে। এসব হোস্ট সোর্স থেকে ৩৫ হাজার ২১৩ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ওয়েবসাইটে একই সঙ্গে অভিযোগ জানানো ও সতর্ক করার বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়েছে। ওয়েবসাইটে মোট ছয়টি সার্ভিস বা সেবা দেয়া দিচ্ছে। বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, সাইটটি বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তা, পরামর্শ ও বিশেষ তথ্যভা-ার বা ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যেও এ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সাইবার অপরাধ রোধ ও অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য ১১ সদস্যের সিএসআইআরটি দল কাজ করেছে।
×