ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৪ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

তালগাছ সবার পিরোজপুর জেলার কাউখালী-ঢাকা মহাসড়কের জয়কুল বিড়ালজুরীতে ১৯৮৫ সালের আগস্টে মোবাশ্বের ডিলার ৫০টিরও বেশি তাল গাছ নিজ হাতে রাস্তার দুই পাশে রোপণ করে গেছে। কিছুদিন হলো তিনি মারা গেছেন। জনস্বার্থে গাছগুলো ৩ গ্রামের মানুষ উপভোগ করছে যেমনÑ তাল ফল হিসেবে, গাছের শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে এবং কাঁচাপাতা সাধারণ কৃষকের ঘরের ছাউনিতে ব্যবহার হচ্ছে। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আছেই। বাবুই পাখি বাসা বাঁধছে নিরাপদ আশ্রয় ভেবে। গাছ আমাদের জীবন, গাছকে বাঁচিয়ে রাখুন। কিন্তু আঁধারে কে বা কারা কয়েকটি গাছ কেটে নিয়েছে। তাই আমি জনস্বার্থের কথা ভেবে ওই তালগাছগুলো রক্ষার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আকুল আবেদন। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) কাউখালী, পিরোজপুর বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সপ্তম পে-স্কেলে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন গ্রেডে বেতন বৈষম্য ছিল ৩৬ হাজার টাকা। অষ্টম পে-স্কেলের সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন বৈষম্য হবে ৬৬ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা। ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত বেতন কমিশন সবকিছু পর্যালোচনা করে প্রায় ১৩ মাস পর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের বৈষম্য ছিল প্রায় ৭২ হাজার টাকা। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে উচ্চশ্রেণী আর নিম্নশ্রেণীর মধ্যে তফাতটা বেশ উল্লেখযোগ্য হারে করা হয়েছে। তাতে মনে হয় উচ্চ শ্রেণীরা আরও উচ্চশ্রেণী হবে এবং নিম্নশ্রেণীরা আরও নিম্নশ্রেণী হয়ে যাবে। প্রকৃতিগতভাবে না হলেও জোরপূর্বক তা করা হবে। কেউ মানুক আর না মানুক পে-স্কেলে ঘোষণা পরবর্তী বাজারে এর প্রভাব পড়ে এটা সর্বজনস্বীকৃত। দেশের বৃহৎ জনসংখ্যার ক্ষুদ্রতম একটা অংশমাত্র সরকারী চাকরিজীবী। বর্তমানে সুপারিশকৃত পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলে ধনী-গরিব বিস্তর বৈষম্যের কারণে একশ্রেণীর মানুষ জীবনমানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে চলতে না পেরে বিপথের আশ্রয় নেবে। কারণ উচ্চবিত্তরা বাজার থেকে যে মূল্য দিয়ে যে জিনিস কিনবে নিম্নবিত্তরাও সেই একই জিনিস একই মূল্যে কিনবে। এক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তরা সবসময় প্রতিকূলতার মাঝে বসবাস করবে। ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অধিক উপার্জনের আশার দেশে চাকরি না করে অবৈধবাবে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে একশ্রেণীর লোক যারা নিম্ন বা মধ্যবিত্ত। এতে প্রতিনিয়ত বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পে-স্কেলের উচ্চশ্রেণী থেকে নিম্নশ্রেণীর মাঝে বিস্তর বেতন বৈষম্য দূর করে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার টাকা করলে বেতন বৈষম্য তেমন থাকবে না এবং জীবনমানের ক্ষেত্রে এর সুপ্রভাব পড়বে। ফলে ২০২১ সালের সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে। তাই পে-স্কেলের বেতন বৈষম্য দূরীকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। রাসু বড়ুয়া চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম রাস্তাটির বেহাল দশা টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া থেকে দোওজানা পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাকুটিয়া থেকে দোওজানা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রিক্সা, টেম্পো, অটোরিক্সা, পিকআপ ভ্যান ও পথচারী গণদুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ রাস্তা দিয়ে পাহাড়ী কৃষিপণ্য পরিবহন করা হয় এবং পাহাড়ী এলাকার মানুষ তথা ছাত্রছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জরুরী ভিত্তিতে জনস্বার্থে এই রাস্তাটি প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। মোঃ আবুল কাশেম ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
×