ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচপুর মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ ॥ ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৪ জুন ২০১৫

কাঁচপুর মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ ॥ ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ১৩ জুন ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে। এতে একদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, অন্যদিকে দুর্গন্ধে ওই স্থানে অবস্থান করাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে যানবাহন যাত্রী, যানবাহন শ্রমিক ও পথচারীরা। জানা যায়, কাঁচপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপুর্ণ একটি বাসস্ট্যান্ড। কেননা সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ১৮টি জেলার লোকজন এ বাসস্ট্যান্ডটি অতিক্রম করে দূরপাল্লার যাত্রীবাহীবাসসহ হাজারো যানবাহনে করে চলাচল করছে। কিন্তু এক শ্রেণীর লোকজন এ বাসস্ট্যান্ডটিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং পয়েন্টে পরিণত করে ফেলেছে। অভিযোগ রয়েছে, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের অবৈধ কাঁচামাল ও দোকানপাটের ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা এনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর ফেলছে। এখানে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীরা মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে পথচারীরা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। অন্য দিকে প্রায়ই এ বাসস্ট্যান্ডে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যানবাহনের যাত্রী, চালক, হেলপার ও পথচারীরা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কাঁচপুরের বাসিন্দা নজরুল জানায়, উক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করা সত্ত্বেও কেউ মানছে না। সিনহার শ্রমিক কালাম জানায়, বৃষ্টির দিনে ময়লা-আবর্জনা থেকে আরও বেশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার বিষয়ে অনেক বলেছি। এ বিষযে সওজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেন। মুক্তচিন্তার শক্তিকে বিচারহীনতা নির্জীব করে দেয় খুলনায় সেমিনারে বারকাত স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বিভাগীয় এক সেমিনার শনিবার সকালে খুলনা সরকারী মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। দীর্ঘ প্রবন্ধের সারকথায় ড. আবুল বারকাত বলেন, সামাজিক বিজ্ঞানের চিরন্তন পদ্ধতির নিরিখে বলা যায়, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ এখন এক ‘জগদ্দল সংস্কৃতি’। এ সংস্কৃতি সমাজদেহের গভীরে প্রোথিত এমন এক বিষের বীজ যা সমাজদেহের সর্বত্র পচন ধরায়, সমাজদেহের অসীম সম্ভাবনার শক্তিকে নিঃশেষ করে দেয়, মানুষের সৃজনশীলতা আর মুক্তচিন্তার স্বাধীনতার শক্তিকে নির্জীব করে দেয়, মুক্তবুদ্ধি ও আলোকিত মানুষ গড়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মভিত্তিক মৌলবাদ ও মৌলবাদী জঙ্গিত্ব এখন ‘অশুভ আগ্রাসী সংস্কৃতিতে’ রূপান্তরিত হয়েছে। ‘ক্ষতিহ্রাস কৌশল’ হিসেবে একদিকে সাম্পদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ-প্রতিরোধের শক্তিকে জোরদার করতে হবে, অন্যদিকে অশুভ আগ্রাসী সংস্কৃতির মহাবিপর্যয়ের স্থায়ী সুরাহার জন্য শোষণমূলক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকেই উল্টে শোষণহীন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করতে হবে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খুলনা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহামদ আব্দুল আলীম।
×