ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫১ কোটি টাকার প্রথম প্রকল্প, কাজ পাচ্ছেন সাঈদ খোকন

রাজধানীতে পরিকল্পিত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৪ জুন ২০১৫

রাজধানীতে পরিকল্পিত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পরিকল্পিত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে কোল্ড রি-সাইক্লিং প্লান্ট ও ইকুপমেন্ট সংগ্রহ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এ লক্ষ্যে ৫১ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম প্রকল্প পাচ্ছেন সাঈদ খোকন। যদিও এর আগে ঢাকা উত্তরের জন্য প্রায় দুই শ’ কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছিলেন মেয়র আনিসুল হক। এটি বাস্তবায়িত হলে পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী পুনরায় ব্যবহার করে প্রধান সড়কগুলোর সংস্কার করা হবে। ফলে রাস্তা আর প্রতিবছর উঁচু হবে না। সড়ক সংস্কারে ব্যয় কমবে এবং অর্থ সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। সভায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেসব সিদ্ধান্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী পুনরায় ব্যবহার করা হবে। এর ফলে নানা সুবিধা পাওয়া যাবে। এসব দিক বিবেচনা করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন কাজ শেষ করবে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভিআইপি রোডসহ অন্যান্য সড়কে যানবাহনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। বর্ষাকালে অতি বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে প্রতিবছরই রাস্তা মেরামত কার্যক্রম করতে হচ্ছে। ফলে রাস্তার উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে। পানি নিষ্কাশনের সমস্যায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ পরিপ্রক্ষিতে প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটির মাধ্যমে কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা গেলে রাস্তার পুরাতন ব্যবহৃত উপাদানগুলোর ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। রাস্তার উচ্চতা আর বাড়বে না। এতে রাস্তাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হবে এবং অর্থ সাশ্রয় হবে। এসব বিবেচনায় পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির প্রস্তাব পাঠানোর পর ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভৌত অবকাঠামো বিভাগে একটি সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটির যাবতীয় প্রক্রিয়াকরণ শেষে বর্তমানে একনেক অনুবিভাগে রয়েছে। যেকোন দিন এটি একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করবে। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, রি-সাইক্লিং এবং ভারজিন কম্বিনেশন এ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট একটি, কোল্ড মিলিং মেশিন একটি, একটি ৬০ টন ক্যাপাসিটি প্রাইম মুভার সংগ্রহ, আটটি ডাম্প ট্রাক (২০-২৫ টন ক্যাপাসিটি) ক্রয়, ৫ হাজার লিটার ক্যাপাসিটি পানির ট্যাঙ্কের স্প্রে, একটি বিটুমিন প্রেসার ডিস্ট্রিবিউটার ক্রয়, একটি ইন্সপেকশন ভেহিকেল (পিকআপ) ক্রয়, একটি ওয়েব্রিজ, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিনসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ক্রয় করা হবে।
×