ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪২ প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদিত

পিপিপির আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৫ জুন ২০১৫

পিপিপির আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ

এম শাহজাহান ॥ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের আওতায় নেয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিনিয়োগ আকর্ষণে করা হচ্ছে নতুন আইন। প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে পাবলিক এ্যান্ড প্রাইভেট পার্টনারশিপ-পিপিপির আওতায় ৪২টি প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, শান্তিনগর-মাওয়া ফ্লাইওভার, আনোয়ারা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্প রাখা হয়েছে। এছাড়া পিপিপির আওতায় পরিবহন খাতে ১৬টি, অর্থনৈতিক অঞ্চল ৮টি, পর্যটন শিল্পে ৪টি, স্বাস্থ্য খাতে ৮টি, আবাসন খাতে ৫টি এবং শক্তি খাতে ১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ‘নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস’ নামে পিপিপি উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তারপর থেকে প্রতি অর্থবছরই বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকা করে। কিন্তু এ খাতে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে তেমন দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রকল্পগুলো দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় বেসরকারী খাতের উদ্যেক্তারাও এতে এগিয়ে আসছে না। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পিপিপি নিয়ে আশার আলো দেখছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ঘোষণায় তিনি বলেন, পিপিপি বাস্তবায়নে গত ৬ বছর অনেক বক্তব্য রেখেছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। স্বীকার করতেই হবে যে পদ্ধতিগত প্রস্তুতি আমাদের দুুর্বল ছিল। তবে আশার বিষয় হলো, বিনিয়োগকৃত সম্পদ হতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব বিল-২০১৫ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এটি আইনে রূপ নেবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, এর ফলে পিপিপি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। এসব উদ্যোগ ছাড়াও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানা সংস্কার পিপিপি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনবে। সূত্র মতে, পিপিপি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব ব্যবস্থা। এতে জনগণকে সেবা দেয়ার উদ্দেশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাত বিনিয়োগ করে থাকে। সরকারের সঙ্গে বেসরকারী খাতের চুক্তি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় স্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন বা নির্মাণ এ পদ্ধতিতে হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে নীতিগতভাবে অনুমোদিত ৪২টি প্রকল্পের মধ্যে পরিবহন খাতে রয়েছে -ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (চুক্তি স্বাক্ষরিত), মংলাবন্দরে ২টি জেটি নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাল্টিমোড সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন, ঢাকা বাইপাস চার লেনে উন্নীতকরণ, শান্তিনগর-মাওয়া ফ্লাইওভার নির্মাণ, হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ পিপিপি সড়ক নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সসেস কন্ট্রোল হাইওয়ে নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু ব্রিজে ডুয়েল গেজ নির্মাণ, ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ মিটার গেজ রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণ, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, যাত্রাবাড়ী-সুলতানা কামাল ব্রিজ তারাবো পিপিপি রোড নির্মাণ, লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ, খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালন, ধীরাশ্রম রেল স্টেশনে নতুন আইসিডি নির্মাণ, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে ২য় পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং ৩য় সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প।
×