ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনী প্রধান জামাল নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ জুন ২০১৫

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনী প্রধান জামাল নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কাতলার খাল এলাকায় সোমবার সকালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু জামাল বাহিনীর প্রধান জামাল (৩৫) নিহত হয়েছে। এ সময় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, চারটি কাটা রাইফেল, দু’টি এয়ারগান, আটটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও এক’শ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি। র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন, র‌্যার-৮-এর সুন্দরবনের আলোরকোল ক্যাম্পের সদস্যরা নিয়মিত টহল দেয়ার সময় সোমবার ভোরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কাতলার খাল এলাকায় গেলে বনদস্যুরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে আধাঘণ্টা গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, চারটি কাটা রাইফেল, দু’টি এয়ারগান, আটটি ধারালো অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় জেলেরা নিহত বনদস্যুকে ‘জামাল বাহিনী’র প্রধান জামাল বলে শনাক্ত করে। নিহত বনদস্যু জামালের লাশ শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র‌্যাব আরও জানায়, নিহত জামাল দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট, পাথরঘাটা, পিরোজপুর, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের অপহরণ ও মুক্তিপণের দাবিতে আটকে রেখে নির্যাতন চালাত। দস্যুপ্রধান জামালের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানা গেছে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তির ছায়া নেমে এসেছে। সাতক্ষীরায় তিন ডাকাত গুলিবিদ্ধ ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, তালায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় আহত হন পুলিশের চার এএসআই। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে তালার মাগুরা গ্রামের হজরতপাড়ের পান বরজের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে মাগুরায় পান বরজে জড়ো হয়েছে- এমন খবর পেয়ে একদল পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এ সময় কয়েকটি ককটেলও ফাটায় তার। ডাকাতদের প্রতিহত করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরা হচ্ছে তালার চাঁদকাটি গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে কালাম শেখ (৩০), পাটকেলঘাটা থানার মিঠাবাড়ি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও মাগুরার মোহাম্মদপুরের জিল্লুর রহমান (২২)। তাদের সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই পেশাদার ডাকাত উল্লেখ করে ওসি জানান, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তালা, পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি করে মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় আরও ৬-৭ ডাকাত পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
×