ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৬ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বর্ষার কদম, কদমের বর্ষা বর্ষা এলেই রাজধানীসহ সারাদেশে দেখা মিলত কদমের। চারদিকে শুধু কদম আর কদম। বর্ষা আর কদম যেন একই বৃন্তে দুই সহোদর। সবুজ পত্র-পল্লবিত গাছে কদম তার অপার সৌন্দর্য নিয়ে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলল। শুধু কদম নয়, বর্ষায় কদমের সঙ্গে কেয়া, কামিনী, মালতি, ঝুমকোলতা, শাপলাসহ অনেক নাম না জানা ফুল তার বিভা নিয়ে বাংলার প্রকৃতিকে বর্ণময় করে রাখত। মেঘবতী কন্যার সঙ্গে প্রকৃতির এমন সমন্বয় সত্যিই দেখার মতো। বর্ষার সময়ই ময়ূর পেখম খুলে মনের খুশিতে নেচে ওঠে। ময়ূর নৃত্যের সেই ঝলমলে পরিবেশ ভোলার নয়। বাঙালীর জীবনে বর্ষা এক উৎসবের নাম। ঋতু বৈচিত্র্যের দেশে আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে রচিত হয় এক অলিখিত সম্পর্কের। হাজার বছর ধরে চলে আসছে এই পরম্পরা। বাঙালী বর্ষাকে বরণ করতে নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। জলবায়ুর পরিবর্তন গ্রিন হাউস এফেক্ট ও নাগরিক জীবনের ব্যাপ্তির কারণে প্রকৃতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। নির্বিচারে গাছপালা, বনজঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে আগের মতো প্রাণের সাড়া মেলে না। দ্রুত গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রকৃতিতে আর বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায় না। ঋতু বৈচিত্র্যের পালায় আবারও বর্ষা এসেছে। বর্ষার সঙ্গে আজও দেখা যায় কদম। কিন্তু এর সংখ্যা যেন দিনদিন কমে যাচ্ছে। পরিবেশবিদরা প্রকৃতি সংরক্ষণে সচেতনতার কাজটি করে যাচ্ছেন কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সেসবে কান দিচ্ছেন না। তারা নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে বর্ষায় কদমের সংখ্যা হয়ত আরও কমে যাবে। পরিবেশের এই বিপর্যয়ে আমরা সত্যি সত্যি শঙ্কিত। এমএ সালেহ নারিন্দা রোড, ঢাকা। মিথ্যার ইতিহাস হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল অতঃপর সহজ-সরল ধর্মভীরু দেশবাসীর সঙ্গে মিথ্যার বেসাতি, এভাবেই টিকে ছিল জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি- যা ধীরে ধীরে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ছে। এরা অপপ্রচার চালাত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে এ দেশ ভারত হয়ে যাবে, মসজিদে উলু ধ্বনি শোনা যাবে, পঁচিশ বছরের মৈত্রী চুক্তি করে শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়ে গেছে, শাশ্বত বাঙালী জাতীয়তাবাদের স্থলে মনগড়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ তৈরি করল, পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস সংযুক্ত করল। এদের অপপ্রচার আর মিথ্যার সর্বশেষ সংযোজন ছিল গত ৫ মে ১৩ হেফাজতের সমাবেশ এবং পরবর্তী কর্মকাণ্ডে- শত শত পবিত্র কোরান পুড়িয়ে দিল আর প্রচার করল হাজার হাজার আলেমকে হত্যা করেছে সরকার অথচ এ হত্যার হিসাব দিতে পারল না। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বস্তিগুলোতে ঢুকে ল্যাপটপে আফগান যুদ্ধের ছবি দেখিয়ে বলেছে আলেম হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস বড়ই নির্মম সে সত্যের ঝা-া তুলে ধরবেই। বাকের আহমেদ প্রশিকা কর্মী, ঢাকা।
×