ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় বরেণ্য কবিদের কণ্ঠে কবিতা পাঠ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৭ জুন ২০১৫

শিল্পকলায় বরেণ্য কবিদের কণ্ঠে কবিতা পাঠ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আয়োজনটি ছিল কবিদের নিয়ে। তাই অনুষ্ঠানজুড়ে বয়ে গেল কাব্যবীজের স্ফূরণ। কাব্যের চরণ ধরে উঠে এলো সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের কথা কিংবা প্রিয়তম-প্রিয়তমার মনের কথাটি। উচ্চারিত হলো এই জল, বায়ু ও মাটির বন্দনা। আর সেই কবিতার শব্দগাথায় সিক্ত হলো কবিতানুরাগী শ্রোতাকুল। মঙ্গলবার আষাঢ়ের বিকেলে কাব্যগাথার এই শৈল্পিক উচ্চারণের আয়োজনটি অনুষ্ঠানটি হলো শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। কবিতাপাঠের এ আসরে অংশ নিলেন দেশবরেণ্য কবিরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত প্রতি মাসের নিয়মিত অনুষ্ঠানমালার ধারাবাহিকাতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথিতযশা কবিরা অংশ নিলেন কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠের এ আয়োজনে। অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে কবিতার দোলায়িত ছন্দের সঙ্গে সুরেলা শব্দধ্বনি তোলা সঙ্গীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, রবিউল হুসাইন, জাহিদুল হক, অসীম সাহা, নূহ উল-আলম লেলিন, নাসির আহমেদ, শিহাব সরকার, দিলারা হাফিজ, তারিক সুজাত ও অঞ্জনা সাহা। আর বাণীর সঙ্গে সুরের আশ্রয়ে সঙ্গীত করেন কণ্ঠশিল্পী সুজিত মোস্তফা ও অনুপমা মুক্তি। চমৎকার এ আয়োজনে সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন ছড়াকার কবি আসলাম সানী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তামান্না তিথি। অনুষ্ঠান শুরু হয় গান দিয়ে। শুরুতেই নজরুলের ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী’ গানটি পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সুজিত মোস্তফা। এরপরই তিনি গেয়ে শোনান বর্ষার গান ‘রিমঝিম রিমঝিম ঘন দেয়া বরষে’। সুজিত মোস্তফার পর কণ্ঠশিল্পী অনুপমা মুক্তি গেয়ে শোনান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘মধুর মধুর বংশী বাজে’ গানটি। এরপর একে একে পরিবেশন করেন পুরনো দিনের গান ‘হাতের কাঁকন ফেলেছি খুলে’ ও ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছো শাপলার ফুল’। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিবস বলা হলেও লোকনাথ পঞ্জিকায় আজ পহেলা আষাঢ়। বাংলা পঞ্জিকার এই তারিখ বিভাজনে আমরা এক দিনের অনুষ্ঠান দুই দিন করতে পারি। বাংলা ভাষায় খুব কম কবি আছে যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লেখেননি।’ কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণ স্মরণানুষ্ঠান ॥ শচীনদেব বর্মণ স্মৃতি সুরক্ষায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং কুমিল্লায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার বিকেলে শচীনদেব বর্মণের পৈত্রিক নিবাস কুমিল্লার চরথা আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই পর্বে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনিক বোসের নৃত্য পরিচালনায় ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’ ও ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক’ গানের সুরে দুইটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন স্পন্দন। অনিমা মুক্তি গোমেজ গেয়ে শোনান ‘রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলারে’। সুবীর নন্দীর কণ্ঠে গীত হয় ‘কে যাসরে’। ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’ ও ‘নিশিথে যাইও ফুলবনে’ শিরোনামে দুটি গান পরিবেশন করেন মৌটুসী ও কিরণ চন্দ্র রায়। মঞ্চস্থ সংস্কার নাট্যদলের নাটক শূন্যলতা ॥ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো সংস্কার নাট্যদলের নাটক শূন্যলতা। এন ডি চঞ্চলের রচনায় প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন মিজানুর রহমান সুরুজ।
×