ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবহন মালিক শ্রমিকদের হরতাল প্রত্যাখ্যান

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৭ জুন ২০১৫

পরিবহন মালিক শ্রমিকদের হরতাল প্রত্যাখ্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় উচ্চ আদালতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল মানবে না পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। হরতাল প্রত্যাখ্যান করে মহাসড়ক, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। মঙ্গলবার বিকেলে সমিতি কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, উচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান করা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং আদালত অবমাননার শামিল। জনবিরোধী এ হরতালে মালিক-শ্রমিকরা কখনও সাড়া দেবে না, ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে এ হরতাল। মালিক-শ্রমিকরা হরতালের মধ্যে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত রাখবে। তবে যাত্রী পাওয়া গেলে আন্তঃজেলা রুটের গাড়িগুলো চলাচল করবে। বৈঠকে মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদসহ গুলিস্তান বাস টার্মিনালের মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সকলে হরতাল উপেক্ষা করে গাড়ি চালানোর পক্ষে মত দেন। তবে যানবাহনের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, আজমত উদ্দিন, সামদানি খন্দকার প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বেঞ্চ মঙ্গলবার মাত্র দুই মিনিটে এই রায়ের সংক্ষিপ্তসার জানিয়ে দেন। আর সর্বোচ্চ সাজার এই রায় আসে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টায় বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে। এই প্রথম বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করা কোন ব্যক্তি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলতে যাচ্ছেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুজাহিদই যে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণকে দমাতে গঠিত আলবদর বাহিনীর মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তা উঠে আসে এই মামলার রায়ে। এক সময় তিনি দম্ভ করে বলেছিলেন, ‘এ দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই’। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, তিনিই যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ দ-ে দ-িত হলেন। শত চেষ্টায়ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। সত্য এমনই। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
×