ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শামীমা আক্তার (তুলি)

দরকার বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৮ জুন ২০১৫

দরকার বাজার মনিটরিং

১৯৯৮ সালের কথা, আমি তখন ৯ম শ্রেণীতে পড়ি। মনে পড়ে, আমার বাবা বাজার থেকে গরুর মাংস কিনতেন প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে। অথচ বর্তমানে এর দাম ৪০০ টাকা। জানি ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও বাড়বে। শুধু জানি না কোথায় গিয়ে ঠেকবে? দ্রব্যমূল্য সর্বদাই যেন উর্ধমুখী ও অস্থিতিশীল। রমজান মাস, যা মুসলমানদের জন্য সংযমের মাস, পুণ্য অর্জনের মাস। এই মাসেও মুসলমান ব্যবসায়ী ভাইয়েরা নানা অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা অর্জনেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। রোজার মাস আসতেই ৩৫-৪০ টাকার পেঁয়াজ হয়ে যায় ৫০ টাকা, ২৫ টাকার বেগুন হয়ে যায় ৪০ টাকা। এছাড়া খেজুর, ছোলা এমনকি কাঁচা মরিচসহ অন্য কোন ফলমূল ও খাদ্যদ্রব্যের কথাই বলি না কেন সবকিছুর দামই যেন লাগামহীন পাগলাঘোড়া। এছাড়া শপিং মলের ব্যবসায়ী ভাইয়েরা ঈদ উপলক্ষে জামাকাপড়, জুতা ও বিভিন্ন কস্মেটিকস পণ্যের নিজেদের ইচ্ছামতো মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ঈদে বাড়ি ফেরা উপলক্ষে টিকিটের মূল্য, জামাকাপড় কেনা বাবদ বাড়তি খরচ আর এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। আমার মতে, সরকারের উচিত মধ্যবিত্ত সমাজের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে একটি বাজার মনিটরিং সিস্টেম চালু করে প্রতিটি দ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া আর সেটা মেনে চলা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি করা। উত্তর মুগ্দাপাড়া, ঢাকা থেকে
×