ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমধ্যসাগরের অভিবাসীদের নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইউরোপ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৮ জুন ২০১৫

ভূমধ্যসাগরের অভিবাসীদের নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইউরোপ

ইতালি ও গ্রীসে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এদিকে ইতালি হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি ইইউ’র অন্য দেশগুলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের দায়িত্ব ভাগ করে না নিতে চায় তাহলে তারা ভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। খবর এএফপি ও বিবিসির। এদিকে মঙ্গলবার ফ্রান্স-ইতালীয় সীমান্তে একটি রেলওয়ে সেতুর নিচে আশ্রয় নেয়া আফ্রিকান অভিবাসীদের ইতালীয় পুলিশ জোর করে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। এখন সীমান্তটি এই সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এবং অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে অচলাবস্থার কারণে ইতালি ও ফ্রান্সের মধ্যে বর্তমানে বাগযুদ্ধ চলছে। লুক্সেমবার্গে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে ইইউ’র অভিবাসী বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রিস আভ্রামোপোলাস বলেছেন, বৈঠকে আমাদের অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এখন সময় এসেছে আমাদের জাতীয় স্বার্থ অতিক্রম করার এবং একে অপরের দিকে আঙ্গুল তোলা ও দর কষাকষি এড়ানোর। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টারত হাজার হাজার অভিবাসীদের ইউরোপের ২৮টি রাষ্ট্রের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার বিষয়টিই মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রধান ইস্যু ছিল। এই সংকটের ফলে ইতালি, গ্রীস ও মাল্টার ওপর বিশাল চাপ পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশগুলো। দেশ তিনটি চাইছিল ইউরোপের বাকি দেশগুলো মিলে তাদের উপর আসা এই অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিক। কিন্তু পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিসহ পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ এ ধরনের বাধ্যবাধকতার বিরোধিতা করেছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা এই ইস্যুতে নিজেদের জড়াতে চায় না। কোন কোন দেশ আবার এই অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে মতো দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের ঐক্য এবং সহযোগিতামূলক নীতি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এখন আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় একটি শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপের নেতারা এই অভিবাসন ইস্যুতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন। ইইউ’র সীমান্ত বিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, চলতি বছর এক লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী চলতি বছর ইউরোপে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইতালিতেই পৌঁছেছে ৬০ হাজার। এই বৈঠকে ইউরোপে পৌঁছা ৪০ হাজার সিরীয় ও ইরিত্রীয় অভিবাসীদের এবং ইউরোপের বাইরে বিভিন্ন শিবিরে থাকা ২০ হাজার সিরীয়কে পুনর্বাসনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই ইস্যুতে ইইউ ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে তারা ‘প্ল্যান বি’ গ্রহণ করবেন, যা ইউরোপকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে ইতালি কি পন্থা অবলম্বন করবে রেনজি তা স্পষ্ট করেননি। তবে ইতালীয় মিডিয়া বলেছে, রোম নতুন অভিবাসীদের শেনঝেন অঞ্চল (ইউরোপের ২৬টি দেশ নিয়ে গঠিত) ভ্রমণের অস্থায়ী ভিসা দিতে পারে।
×