ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনার কাছে উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ ঋণী। এ অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, রংপুর বিভাগ গঠনসহ আলোকিত চোখে পড়ার মতো উন্নয়নসমূহ সবকিছুই আপনার সরকারের সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। আপনার সরকারের সময়ে দেশব্যাপী যখন একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে ঠিক সে সময়ে বার বার দলবদলকারী তাজুল ইসলাম চৌধুরী গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের ইমেজে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এলাকায় আসেন না, সাধারণ মানুষের খোঁজখবরও রাখেন না। বিপদে-আপদে কুড়িগ্রাম ১ আসনের মানুষ এমপির কাছে যেতে পারে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। নদী ভাঙ্গনে এমনিতেই শত শত পরিবার এখন নিঃস্ব। বর্তমানে আবারও শুরু হয়েছে সেই কালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গন। সম্প্রতি একটি এলাকা পরিদর্শনে গেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহারা এলাকায় নদী ভাঙ্গনের শিকার ৮০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ সোহরাব আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘কি বাহে সাংবাদিকের বেটা, তোমরা খালি হামার এডাই আসি ফটোক তুলি নিয়া যান, কই কায়ো তো হামাক গুলাক সাহায্য করে না। কায় বাহে হামার এমপি? হামরা মরি যাই, এলাও এলাকাত আসিল না।’ এ ধরনের আকুতি এবং সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গনকবলিত জনপদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। বর্ষা মৌসুমের আগেই যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর, ফারাজীপাড়া, গারুহারাসহ অন্যান্য বিভিন্ন এলাকায় এবং পাঁচগাছী ইউনিয়নের পাঁচগাছী ও গোবিন্দপুর এলাকায় মারাত্মক আকারে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার প্রতিদিনই গৃহহারা হচ্ছে। এখানকার সাধারণ মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গনের কারণে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এমপি মহোদয়কে বিষয়টিতে সরকারীভাবে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছি। অথচ বিষয়টি রহস্যজনক কারণে ফাইলবন্দী হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুল গফুর বলেনÑ আমার ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার নদীভাঙ্গনে এখন নিঃস্ব। আমরা ভাঙ্গনরোধে সরকারী সহযোগিতা পাওয়ার জন্য কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আমরা সাংবাদিকরা মাঠে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে চিহ্নিত সমস্যাগুলো জাতির সামনে তুলে ধরি। আর ওই সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। কিন্তু দায়িত্বশীল প্রশাসন যখন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। তখন নাগরিক ভোগান্তি বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। আর এ কারণেই শত শত দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনিই শেষ ভরসা। মোঃ রফিকুল ইসলাম কলেজ রোড কুড়িগ্রাম খালেদা জিয়া ॥ ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন রাজনীতিতে চটকদার কথা বলায় খালেদা জিয়ার জুড়ি মেলাভার। তিনি কম কথা বলেন তবে যা বলেন তা নানা কারণে হয়ে ওঠে আলোচিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর নেত্রী নানারকম কথাবার্তা বলে গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন। মোদীর সফরে তার সঙ্গে সাক্ষাতকে ঘিরে সকালে এক রকম কথা তো বিকেলেই সেই কথার তিনশ ষাট ডিগ্রী বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বিএনপি বেশ হাস্যরস তৈরি করেছিল দেশে। অবশেষে মোদীর সঙ্গে সেই কাক্সিক্ষত তিনি লাভ করেন সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি নেত্রী তার পুরনো ভারত-বিরোধীতার অবস্থান থেকে সরে এসে রাতারাতি ভারত প্রশংসায় গদগদ হয়ে ওঠেন। বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও ভারত প্রশংসায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে যান। এ সময় ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের প্রশংসাও করে বিএনপি। বিএনপির এই অবস্থান পরিবর্তনে সাধারণ মানুষ ভেবেছিল, যাক খালেদা জিয়ার মতিভ্রম বুঝি কাটল। কিন্তু না, কয়েকদিন যেতে না যেতেই খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের দাসত্বের অভিযোগ তুলে তার চিরচেনা পথেই যাত্রা শুরু করোল। ডা. পরিতোষ কর মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ আসুন, বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার শঙ্কা জাগিয়ে তুলছে। প্লাবিত এলাকার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। মানুষের ঘর বাড়ি ডুবে গেছে। ফসলের ক্ষেত, বীজতলা, গবাদি পশু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন। পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষের দিন কাটছে অজানা আশঙ্কায়।তারা প্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে আসুন, বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার জয়গান গাই আমরা। এনায়েত উল্লাহ রনি শুক্রাবাদ, ঢাকা স্বজনপ্রীতি বন্ধ করুন ফরিদপুর জেলায় অবস্থিত কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইল গ্রামের রণকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারী উপবৃত্তি থেকে শুরু করে ক্লাসের ক্রমিক নম্বরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলে স্বজনপ্রীতি। অনেক সময় মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট না পড়ার কারণে ক্লাসের ক্রমিক নম্বর পিছিয়ে যায়। এতে ঐ শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে পড়ে পড়ালেখার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। মহান পেশায় নিযুক্ত এসব শিক্ষকদের কাছ থেকে এমন আচরণ সত্যিই লজ্জাজনক। আশা করি ভবিষ্যতে এসব শিক্ষকদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুর কেন কালো টাকা সাদা করা জরুরী কালো টাকা হচ্ছে, কোন রাষ্ট্রের হিসাববহির্ভূত টাকা। ক্রমেই এই অর্থ ফুলে-ফেঁপে উঠছে। অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব অনস্বীকার্য। এ কারণে কোন দেশের মুদ্রাবাজারে কি পরিমাণ অর্থ আছে তা নিরূপণ করা কঠিন কাজ। অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতের মতে, এদেশে কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ৭ লাখ কোটির কাছাকাছি। কালো টাকার প্রভাবে গরিব আরও গরিব হচ্ছে এবং বিত্তবান আরও বিত্তবান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারণে সরকার বাধ্য হয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৭০ হাজার কোটি, কালো টাকার সৃষ্টি হয় এবং মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা কোনো উপায়ে বৈধ করার সুযোগ হয়। আর বাকি টাকা বিদেশে পাচার হয়। টাকা পাচার রোধে কালো টাকা সাদা করার প্রয়োজন রয়েছে। বেশি করে যদি কালো টাকা শর্তহীনভাবে সাদা করার সুযোগ দেয়া হয় এবং এই টাকা দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করলে দেশীয় শিল্পের প্রসার ঘটত। টাকা বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত এবং হাত বদলের মাধ্যমে, বিনিয়োগের মাধ্যমে, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের রুজি-রোজগারের পথ কিছুটা সুগম হতো। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য এই কালো টাকা নিঃশর্তহীনভাবে বিনিয়োগ করার নির্দেশনা যদি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আসত, তাহলে দেশের অর্থনীতি ও শক্তিশালী পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সরকার অর্থ সংগ্রহ করা সহজতর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখুন রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সিয়াম সাধনার মাস, আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ত্যাগ তিতিক্ষার মাস। লক্ষ্য করা গেছে, রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে অধিক লাভের মাস হিসেবে গণ্য করে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ প্রবণতা কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না। বরং অন্যান্য দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়া হয়। রজমান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ার এমন মানসিকতা ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। প্রতিবছর রমজান মাস এলেই হোটেল/রেস্টুরেন্টে শ্রমিক কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়। এটা অমানবিক। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সুমিত্র বিকাশ বড়ুয়া নন্দনকানন, চট্টগ্রাম সে এখনও ফেরেনি লোকটি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছে। তার কোলে একটি নিষ্পাপ শিশু। লোকটি চারদিকে ভাল করে দেখে নিচ্ছে। আজ ছুটির দিন, তাই পথে ব্যস্ততা কম। সে শিশুটিকে কোল থেকে নামিয়ে ফুটপাথে রেখে আরেকবার এদিক-ওদিক তাঁকিয়ে নিরুদ্দেশ হলো। এদিকে শিশুটি কাঁদছে। পথচারীরা তাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর এক হৃদয়বান বৃদ্ধা ফুটপাথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনি শিশুটিকে দেখে কোলে তুলে নিলেন এবং বাসায় চলে গেলেন। এদিকে লোকটি আর ফিরে এলো না। লোকটি ছিল শিশুটির পিতা। সে এখনও ফেরেনি। রামকৃষ্ণ বণিক দাউদকান্দি, কুমিল্লা বয়সভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালী জাতি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই আত্মত্যাগের বীরত্বগাথা আমাদের অমলিন ইতিহাসের অংশ বিলম্বে হলেও মহান এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের এই সরকার প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা দিয়ে আসছেন। বর্তমান ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ৬৫ বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিগুণ করে দশ হাজার টাকা করেছেন। এরজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। কিন্তু এইভাবে বয়স ভাগ করে ভাতা প্রদান মানে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা। যুদ্ধের সময়ে ১৭ বছরের যে যুবক জীবনপণ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাঁর বয়স এখন ৬১ বছর। বয়স কম-বেশী হওয়ার জন্য তো সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে সর্ববয়সী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়নি। অল্পবয়সী মুক্তিযোদ্ধারাও অসম সাহসীকতায় যুদ্ধ করেছেন। শহীদ হয়েছেন। সরকার যখন সব বয়সী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করছেন তখন প্রস্তাবিত বাজেটে বয়সভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা এই প্রস্তাবকে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি কারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শান্তনু মজুমদার শান্তি নগর, ঢাকা বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা যখন নোংরা রাজনীতির দলাদলিতে বিভক্ত হয়ে পড়েন তখন দেশ ও সমাজের জন্য নেমে আসে দুর্দিন। ইদার্নীং আমরা সেই আশঙ্কাই করছি। একথা অনস্বীকার্য যে, বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক আদর্শ, ভিন্নমত, নীতি-নৈতিকতা থাকবে তবে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা সীমারেখা থাকা উচিত। বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ আজকাল সেই সীমারেখা লঙ্ঘন করছে বলে আমাদের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে। এর প্রমাণ টিভি চ্যানেলের টক শো, আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক ও পত্র-পত্রিকায় তাদের একপেশে লেখনী। বুদ্ধিজীবীদের এসব দিক বিবেচনা করেই হয়তো পৃথিবী খ্যাত বুদ্ধিজীবী বার্ট্রান্ড রাসেল বহু বছর আগেই বলেছিলেন, ‘কোন বিশেষ দলভুক্ত হলে তিনি কখন সত্যিকার বুদ্ধিজীবী হতে পারেন না।’ সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। একদল অন্য দলকে সহ্য করতে পারছেন না। বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি, সমালোচনা চলছে। সামাজিক দ্বন্দ্বের অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে বাহাস। সক্রেটিসের মতে, ‘প্রত্যেক সমাজে কিছু দ্বন্দ্ব থাকে, সেগুলোর নিরসন হওয়া উচিত পাবলিক আর্গুমেন্টের মাধ্যমে। যারা চিন্তাবিদ তারা জনগণের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেই দ্বন্দ্বের সমাধানে এগিয়ে আসবেন। সক্রেটিসের এই মতবাদের সঙ্গে দেশের প্রখ্যাত দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সরদার ফজলুল করিমও একমত পোষণ করতেন। অধ্যাপক আহমদ শরীফ, চিন্তাবিদ আহমদ ছফাসহ আরও অনেকেই নিজেদের মতাদর্শের সঙ্গে আপোস করেননি কখনও। তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে কথা বলেছেন। বর্তমানে আমাদের একশ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা তাদের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে দুশ্চিন্তার মধ্যে নিপতিত করছেন। দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন জনমানুষের আকাক্সক্ষাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা আমরা কায়মনোবাক্যে প্রত্যাশা করি। তাহমিনা নিসর্গী ধানম-ি, ঢাকা। লবণাক্ততায় পরিবেশ বিপন্ন সম্প্রতি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে লবণাক্ততার বিরূপ প্রভাবের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। জরিপে জানা যায় দেশের মোট আবাদযোগ্য ভূমির প্রায় ৩০ ভাগ জমি রয়েছে উপকূল এলাকায়। উপক’লীয় ২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ০.৮৪ মিলিয়ন হেক্টর জমি নানাভাবে লবণাক্ততায় প্রভাবিত। শুধু গত এক দশকে এর পরিমাণ বেড়েছে ৪ ভাগ। বর্তমানে দেশে লবণাক্ত মাটি রয়েছে ১৮টি জেলার ৯৩টি উপজেলায়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন উপক’ল থেকে লবণ যেভাবে পশ্চিমাঞ্চলের। জীবন ও পরিবেশ প্রকৃতি শঙ্কার মধ্যে পড়বে। লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের ফসলের উৎপাদন কমে যায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। চিংড়ির ঘের মালিকদের অদূরদর্শী ও অতিরিক্ত মুনাফার জন্য উপক’লীয় অঞ্চলে ফসলী জমিতে হাজার হাজার চিংড়ি ঘের গড়ে উঠেছে। চিংড়ি ঘেরের কারণে মাটি লবণাক্ত হয়ে ওঠে। আর এ লবণাক্ততা ফসলের জন্য হুমকিস্বরূপ। দক্ষিণাঞ্চলের এই লবণাক্ততার কারণে জীব বৈচিত্র্য মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। সবুজ প্রকৃতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শহীদুল হাসান তেজগাঁও, ঢাকা।
×