ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে কাঁপিয়ে দিলেন ‘দুই দেশী’ ভাই

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২০ জুন ২০১৫

ভারতকে কাঁপিয়ে দিলেন ‘দুই দেশী’ ভাই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একজন ব্যাটসম্যান। নাম তার-সৌম্য সরকার। আরেকজন পেসার। নাম তাঁর মুস্তাফিজুর রহমান। দুইজনের গ্রামের বাড়িই সাতক্ষীরা। দুইজনই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে খেলেন। দুুইজনই আবার প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। সেই কাঁপনে ভারত হেরেও গেছে। ব্যাট হাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামলেন সৌম্য সরকার। স্বভাবসুলভ সব শটে ৪০ বলে ৫৪ রানে এনে দিলেন দারুণ সূচনা। দল শেষে ৩০৭ রান করল। ভারতকে আটকাতে শুরুতেই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলটা তুলে দিলেন বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। ওয়ানডে অভিষেকই উপহার দিলেন একের পর এক বিস্ময়। অভিষিক্ত ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। ম্যাচ শেষে দুজনের হাতেই উঠল পুরস্কার। সৌম্য পেলেন ‘স্টাইলিশ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচে’র পুরস্কার আর মুস্তাফিজ পেলেন ‘ম্যাচসেরা’র পুরস্কার। কাল মুস্তাফিজ বললেন তাঁর শুরুর গল্প। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে একসময় ফাইভ স্টার বলে ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু তাঁর ক্রিকেটার জীবনের। সৌম্যের শুরু সাতক্ষীরা শহরের স্থানীয় এক ক্লাব থেকে। মুস্তাফিজুরের ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে যেমন ভাই মোখলেছুর রহমানের বিরাট অবদান, তেমনি সৌম্যের ক্ষেত্রে পুষ্পেন সরকারের। দুজনের বাড়ির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের মতো। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে সাতক্ষীরায় কখনও তাঁদের দেখা হয়নি। সৌম্য বললেন, ‘জাতীয় দলে ঢোকার দু’বছর আগে ওকে একবার দেখেছিলাম, ঢাকায়। অবশ্য তখনও সে অনুর্ধ-১৯ দলে সুযোগ পায়নি। সাতক্ষীরায় আগে কখনও দেখা হয়নি।’ যদিও দুজনই তরুণ। তবে বয়স ও অভিজ্ঞতায় সৌম্যই সিনিয়র। সে ক্ষেত্রে তাঁকেই ‘বড় ভাই’য়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। সৌম্য জানালেন, ‘যেহেতু আমি সিনিয়র; চেষ্টা করি মাঠে ও মাঠের বাইরে সব সময় ওকে সাহস বা উৎসাহ দিতে। বলি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ সৌম্য জানালেন, দুজন নাকি একে অপরকে ‘দেশী-দেশী’ বলে সম্বোধন করেন। খানিকটা হেসে বললেন, ‘জাতীয় দলে খেলা বা অন্যান্য ম্যাচে একই সঙ্গে খেললে বেশিরভাগ সময় আমরা একসঙ্গেই থাকি।’
×