ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়ক ৩০ জুন খুলছে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২১ জুন ২০১৫

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়ক ৩০ জুন খুলছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়ক ঈদের আগেই অর্থাৎ ৩০ জুন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এবার ঈদে এ মহাসড়কে কোন ভোগান্তি হবে না বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, চুক্তির শর্ত অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চার দেশের মধ্যে গাড়ি চলাচল করবে। পদ্মা সেতুর কাজ ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলও পুরোদমে চালু হবে। ‘দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্য সুবিধা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রেহমান সোবহান। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকশিনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত হারি কুমার শ্রেষ্ঠা, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি কমাতে ৩০ জুন ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়ক খুলে দেয়া হবে। এবার এ মহাসড়কে কাউকে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রসঙ্গে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি কত চ্যালেঞ্জিং তা আমি জানি। গত সাড়ে ৩ বছরে ১০৩ বার পরিদর্শন করেছি। রাস্তার পাশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, শ্মশান, কবরস্থান আছে। এগুলো সরানো আমাদের দেশে অনেক কঠিন। ফলে এগুলো সরাতে অনেক সময় লেগেছে। একটা মসজিদ সরাতে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ১০ বার বসতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ১৯০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ২০টি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন নির্মিত ১০০ কিলোমিটার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এ মহাসড়কে ৬ লেনের কাজ অচিরেই শুরু করতে পারা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। মেট্রো রেল প্রসঙ্গে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেট্রো রেলের ফিজিক্যাল কনস্ট্রাকশন কাজ শুরু হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২০ সালেই শেষ করা হবে বলে তিনি জানান। এলিভেটেড এক্সপ্রেস সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি অনেকদিন অচল?াবস্থার মধ্যে ছিল, এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হতে চলেছে। সদ্য চার দেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগ চুক্তি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এডিবি তিন বছরের সময় চেয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি, ছয় মাসের বেশি সময় দেয়া যাবে না। আশাকরি আগামী ছয় মাসের মধ্যে চুক্তি শর্ত অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এ আন্তঃযোগাযোগে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও শামিল হতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী, ডোর ইজ ওপেন, ইট ইজ এ জার্নি। পদ্মাসেতুর নির্মাণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে নির্মাণ কাজের ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন চলছে আশপাশের রাস্তা ফোরলেন করার কাজ। এসব সড়ক চার দেশের আন্ত?ঃদেশীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে। মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটান এ চারদেশীয় মোটরযান চলাচল চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নসহ আরও গবেষণার প্রয়োজন। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটানের মধ্যে সম্পাদিত মোটরযান চলাচল চুক্তি বাংলাদেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে প্রবন্ধে উল্লেখ করেন তিনি। এ চুক্তি বাণিজ্য, পরিবহন, বিনিয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ও যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে জরুরী বলে উল্লেখ করা হয়। সেক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ট্রানজিট মাশুল আদায়সহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রফতানি অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি অনেক বেড়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিহরণ শ্রেষ্ঠও দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মোটরভেহিক্যাল পরিচালনা চুক্তির বিষয়ে সিপিডির গবেষণায় প্রকল্প বাস্তবায়নে উইন-উইন ফলাফলের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তির ফলে ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’ এই সংযোগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশসহ এতদাঞ্চল ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষ অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত রয়েছে তা আরও বিকশিত হবে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় এই ব্যবসায়ী নেতা। ব্যবসায়ী মেহেবুবুল আনাম বলেন, যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এরপর এই সড়কে শুধু ট্রাকই চলবে না। চলবে ব্যবসাও। সমঝোতার পর শুধু যোগাযোগই নয়। ব্যবসার জন্য সুবিধাও বাড়বে। ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মোমেন বলেন, মোটরভেহিক্যাল সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত হবে। সেই পরিবেশ তৈরি করার জন্য বাংলাদেশে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন দরকার। এজন্য ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন টাকা লাগবে, সেটা কে দেবে বা কিভাবে সে টাকা উঠে আসবে তার সুরাহা করতে হবে। রওনক জাহান বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন কর
×