ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসী হামলা ২০১৪ সালে এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২১ জুন ২০১৫

সন্ত্রাসী হামলা ২০১৪ সালে এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে

বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ২০১৪ সালে এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসজনিত কারণে এ বছর নিহতের সংখ্যা ৮০ শতাংশ বেড়ে ৩৩ হাজার হয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার জন্য বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। আইএসের প্রধান ঘাঁটি ইরাকে এবং বোকো হারামের নাইজিরিয়ায়। তবে এ বছর (২০১৪) পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, নেপাল ও রাশিয়ায় হামলার ঘটনা কমেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটেছে ইরাকের মসুলে। আইএসের এক হামলায় ৬৭০ জন্য শিয়া কারাবন্দী নিহত হয়। ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল ভূখ- আইএস নিজেদের দখলে নিয়েছে। বহু বিদেশী জঙ্গী এখন আইএসে যোগ দিচ্ছে অন্যদিকে পশ্চিমের অনেকে দেশে এখন অনেকে কোন দলে যোগ না দিয়ে একাকী জঙ্গী হামলা চালিয়েছেÑ ২০১৪ সালের সহিংসতা ছকটি এরকম ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বছর আলকায়েদা ভেঙ্গে খ- বিখ- হয়। তবে ইয়েমেন, লিবিয়া, নাইজিরিয়া ও ইরাকের মতো দেশগুলোতে কার্যকর সরকারের অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে চরমপন্থীরা। জঙ্গীরা এখন শিরোñেদ এবং ক্রুশবিদ্ধ করার মতো নির্মমতাও বেছে নিচ্ছে যা একটি নতুন বিপজ্জনক প্রবণতা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধও সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে। অন্যদিকে নাইজিরিয়ার উত্তরাঞ্চল, ক্যামেরনের উত্তরাঞ্চল, নাইজারের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে বোকা হারাম। অপহরণ ও শিরোñেদের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জঙ্গী এই গ্রুপটির নাম এসেছে। সহিংসতাকবলিত এলাকাগুলোতে সম্ভাব্য জঙ্গীদের আগমন ঠেকাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা সম্প্রতি যে ২১৭৮ নম্বর প্রস্তাবটি পাস করেছে রিপোর্টে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
×