ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাকা চৌধুরীর আপীলের শুনানি অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২২ জুন ২০১৫

সাকা চৌধুরীর আপীলের শুনানি অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার আপীল শুনানির তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট আপীল বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সাকা চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএসএম শাহজাহান। তিনি সাকার বিরুদ্ধে আনা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার সপক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের ৪র্থ সাক্ষী গৌরাঙ্গ সিংহ এবং ৫ম সাক্ষী প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের সাক্ষ্য ও জেরা উপস্থাপন করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সালাউদ্দিন কাদেরের খালাস চেয়ে আপীল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপীল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ’ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রের ডকুমেন্টসহ দাখিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদ- প্রদান করেন। সর্বমোট ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টির পক্ষে সাক্ষী হাজির করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এগুলোর মধ্যে মোট নয়টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। বাকি আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ যে ছয়টি অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেনি সেগুলো থেকেও সাকা চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চারটিতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে ২০ বছর এবং আরও দু’টি অভিযোগের প্রতিটিতে পাঁচ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে সাকা চৌধুরীকে। যে চারটি হত্যা-গণহত্যার দায়ে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে সেগুলো আনা হয় ৩ নম্বর অভিযোগের অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, ৫ নম্বর অভিযোগে রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে সংখ্যালঘুদের গণহত্যা, ৬ নম্বর অভিযোগে রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০Ñ৫৫ জনকে গণহত্যা এবং ৮ নম্বর অভিযোগে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা। ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে।
×