ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যালারি কায়ায় বরেণ্য শিল্পীদের চিত্রসম্ভার

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৩ জুন ২০১৫

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যালারি কায়ায় বরেণ্য শিল্পীদের চিত্রসম্ভার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খুব সহজেই বলা যায়, শিল্পকর্ম দেখতে ভালবাসেন শিল্পরসিকরা। তবে সেই শিল্পের দর্শন পেতে যদি যেতে হয় অনেকটা পথ তখনই নেমে আসে দুর্ভাবনা। এমনই কঠিন বাস্তবতায় ২০০৪ সালে রাজধানীর উত্তরার শেষ প্রান্তে গড়ে ওঠে গ্যালারি কায়া। সময়ের বহমানতায় প্রদর্শনালয়টি পেরিয়েছে প্রতিষ্ঠার এগারো বছর। আর দশক পেরুনো এই শিল্পযাত্রায় নতুন নতুন ছবি ও আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছে কায়া। শিল্পানুরাগী সমাগমের সেই দুর্ভাবনা কাটিয়ে এটি এখন সবার কাছে পরিচিত ও সমাদৃত। বছরজুড়েই প্রদর্শনীসহ চারুকলার নানা গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন ঘটে থাকে এই গ্যালারিতে। সেই সূত্র ধরেই ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চলছে এগারোতম বার্ষিক প্রদর্শনী। এগারো পেরিয়ে প্রদর্শনালয়টির ১২ বছরে পদার্পণের এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছে বরেণ্য শিল্পীদের চিত্রসম্ভার। তাই শিল্পরসিকরাও সুযোগ পেলেই গ্যালারিতে ঢুঁ মারছেন পথিকৃৎ শিল্পীদের শিল্পকর্ম অবলোকনের অভিপ্রায়ে। নানা মাধ্যমে সৃজিত প্রখ্যাত শিল্পীদের রকমারি বিষয়ের ছবি দেখে সমৃদ্ধ করছেন নিজেদের। প্রশান্তির পরশে সিক্ত করছেন আপন নয়ন। এগারোতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে ২০০৪ সালের ২৮ মে যাত্রা শুরু করি। শুরুর সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যানজটের এই শহরে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে শিল্পরসিকরা প্রদর্শনালয়ে আসবেন কিনা? আমাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন নতুন আকর্ষণীয় প্রদর্শনী নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হওয়া। সেই ভাবনায় ভাল আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পানুরাগীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এই প্রদর্শনালয়। সাফল্যের সঙ্গে পেরিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। এগারোতম এই বার্ষিকী প্রদর্শনীতে ধরা দিয়েছে শিল্পের বৈভবময়তা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সৃজিত ছাপচিত্রে দেখা মিলেছে বিশেষ ভঙ্গিমার মুখাবয়ব। পটুয়া কামরুল হাসানের স্নানরত নারীর ছবিটি যেন হঠাৎ করে শিল্পানুরাগীর চোখকে টেনে নিয়ে যায় শিল্পীর ক্যানভাসে। দেবদাস চক্রবর্তীর সানডে মর্নিং শীর্ষক চিত্রপটে উঠে এসেছে ছুটির দিনের সকালের স্নিগ্ধ আমেজ। হাশেম খানের ছবিতে পাওয়া গেছে পাখির সন্ধান। রমণীর অবয়ব এঁকেছেন মুর্তজা বশীর। এছাড়াও ঐশ্বর্যময় এই প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে এসএম সুলতান, আমিনুল ইসলাম, কাইয়ুম চৌধুরী, রশিদ চৌধুরী, নিতুন কু-ু, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, হামিদুজ্জামান খান, কালিদাস কর্মকার, চন্দ্র শেখর দে, দীপা হক, তরুণ ঘোষ, রতন মজুমদার, শম্ভু আচার্য্য, রণজিৎ দাশ ও শিশির ভট্টাচার্য্যরে আঁকা ছবি। সব মিলিয়ে প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছে ২৩ জন প্রখ্যাত ও আধুনিক শিল্পীর ৪৪টি চিত্রকর্ম। এসব চিত্রকর্ম আঁকা হয়েছে ১৯৭৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে। গৌতম চক্রবর্তীর নিজের ও প্রদর্শনালয়ের সংগ্রহ এবং দুই শিল্প-সংগ্রাহকের সংগ্রহ থেকে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার অনেক ছবি এসেছে গ্যালারি কায়া আয়োজিত আর্ট ক্যাম্পের মাধ্যমে। প্রদর্শনীর ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু দুর্লভ সংগ্রহ। গত ৫ জুন শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। ক্ষুদে লেখক কর্মশালা শুরু বৃহস্পতিবার ॥ তোমরা যারা লেখক হতে চাও তাদের জন্য দারুণ খবর! বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী ক্ষুদে লেখক কর্মশালা। কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন টোকন ঠাকুর, চঞ্চল আশরাফ ও শোয়েব সর্বনাম। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সেরা ১০ জনের লেখা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত মাসিক ‘শিশু’ ও দৈনিক ইত্তেফাকের ‘কচিকাঁচার আসর’-এ প্রকাশিত হবে। অংশগ্রহণকারী সবার জন্য রয়েছে বিশেষ শুভেচ্ছা পুরস্কার। আগ্রহীরা শাহবাগের দোয়েল চত্বর সড়কের শিশু একাডেমি ঠিকানায় সরাসরি অথবা ফোনে যোগাযোগ করতে পারবে। আসনসংখ্যা সীমিত। কর্মশালা চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
×