স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থক সুধীর গৌতমের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় ওয়ানডের পর অনভিপ্রেত এই ঘটনা ঘটেছে বলে ফলাও করে প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর স্বয়ং সুধীরই মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তাঁর ওপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। যা বলা হচ্ছে, তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
সাক্ষাতকারে সুধীর ভৌমিক বলেন, ‘দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ভারত হেরে যাওয়ার পর আমি যখন মাঠ থেকে বের হচ্ছিলাম তখন দুই নম্বর গেটে অনেক ভিড় ছিল। পরে আমি এক নম্বর গেট থেকে যখন বের হচ্ছিলাম তখন সেখানে অনেক বাংলাদেশী সমর্থক উৎসব করছিল। তখন কিছু লোক আমার পিছু নেয় এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে মওকা মওকা করে ‘ভুয়া’ বলে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে। সেখান থেকে বেরিয়ে পাশে একটি দোকানে রাখা আমার ব্যাগটি আনতে গেলে সেখানেও অনেক বাংলাদেশী সমর্থকরা আসে। তবে কোন বাংলাদেশী আমার গায়ে হাত দেয়নি বা আমার ওপর হামলার ঘটনা এখানে ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা বলেছি তা থেকে অনেক বাড়িয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রচার করেছে। পরে পুলিশ এসে একটি সিএনজিতে করে আমাকে হোটেলে পৌঁছে দেয়।’
সুধীরের এই বক্তব্যেই প্রমাণ মিলছে, তাকে নিয়ে যা হয়েছে তার চেয়েও বাড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং বিবিসি। এসব সংবাদমাধ্যম ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই মনগড়া সংবাদ উপস্থাপন করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়কে খাটো করে দেখার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে বলে মনে করেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
সুধীর বাংলাদেশের সমর্থকদের ক্রিকেটপাগল দর্শক বলেও মন্তব্য করেন। তিনি শতভাগ সুস্থ এবং আজ শেষ ওয়ানডে ম্যাচ মাঠে বসেই উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রিয় ভারত দলের অনুশীলন দেখেছেন সুধীর। গ্যালারিতে বসে ভারতের বিশাল পতাকা উড়িয়ে ক্রিকেটারদের সমর্থন দিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা সুধীরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সংবামাধ্যমকে মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ‘আমরা সুধীরের খোঁজ-খবর নিয়েছি। আমাদের লোকজন ওর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছে। সুধীরকে বলেছি কোন সমস্যা হলে দ্রুত আমাদের জানাতে।’ সুধীর যথাযথ নিরাপত্তা পাওয়ায় বাংলাদেশের পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডেপুটি কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পুলিশই আমাকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে এ নিয়ে সাতবার এসেছি। কিন্তু কখনও এ রকম হয়নি। খেলায় হারজিত থাকবে। কিন্তু এ রকম যেন না হয়।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: