সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা, ২৮ জুন ॥ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু চিনিকলের উৎপাদিত গত ৪ মৌসুমের প্রায় সাড়ে ৬৬ কোটি টাকার চিনি গুদামজাত হয়ে পড়ে রয়েছে। আখচাষী, শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নির্দেশে নতুন প্যাকেট করে চিনি বিক্রয়ে খুব একটা সুফল আসছে না বলে জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল ও চিনি ডিলাররা।
চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১-১২ আখ মাড়াই মৌসুমের ২ হাজার ৪ দশমিক ৯০ মে.টন, ২০১২-১৩ মৌসুমের ৪ হাজার ৮ শত ৭৪ দশমিক ৯০ মে.টন, ২০১৩-১৪ মাড়াই মৌসুমের ৬ হাজার ২ শত ৪৮ দশমিক ২০ মে.টন এবং ২০১৪-১৫ মাড়াই মৌসুমের ৪ হাজার ৭ শত ৮০ দশমিক ১৩ মে.টন, যা গত ৪ মৌসুমের মোট চিনির পরিমাণ ১৭ হাজার ৯ শত ২৯ দশমিক ১৫ মে.টন। প্রতিকেজি ৩৭ টাকা কেজি দরে বর্তমান বাজার মূল্য ৬৬ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা। এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন জানান, বেসরকারী চিনিকলগুলোর ওপর বর্ধিত হারে ভ্যাট, ইত্যাদি আরোপ করে তাদের উৎপাদিত চিনির বাজার দর বাড়াতে পারলে সরকারী চিনিকলগুলোর অচলাবস্থা দূর হতে পারে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: