ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পতনের দ্বারপ্রান্তে গ্রীসের অর্থনীতি

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৩০ জুন ২০১৫

পতনের দ্বারপ্রান্তে গ্রীসের অর্থনীতি

গ্রীসের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সরকার দেশের ব্যাংকগুলোকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ব্যাংকগুলোতে সঞ্চিত অর্থ ফুরিয়ে আসায় গ্রীসজুড়ে ক্যাশ মেশিনে অর্থ তোলার পরিমাণ দৈনিক ৬০ ইউরোতে সীমিত করে দেয়া হয়েছে। দেশটি মঙ্গলবার দেউলিয়া হয়ে পড়বে বলে সম্ভাবনা দেখা দেয়ার প্রাক্কালে ওই সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। গ্রীস ঋণখেলাপী হয়ে পড়তে যাচ্ছে। কারণ সরকার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) পাওনা ১৫০ কোটি ইউরো পরিশোধ করতে পারবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সেই পরিশোধের শেষ দিন। ওই ব্যর্থতা সরকারকে এক নজিরবিহীন বকেয়া প্রক্রিয়ার মধ্যে ঠেলে দেবে। সরকার ঋণদাতাদের কাছ থেকে বেইলআউট অর্থের (দেউলিয়াত্ব ঠেকানোর অর্থ সহায়তা) নতুন কিস্তি ছাড় করাতে পারবে না। পরে রাষ্ট্রকে মজুরি ও বেতন বাবদ ১৬০ কোটি ইউরো শোধ করতে কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে। এ বিলও চলতি সপ্তাহে শোধ করতে হবে। রবিবার রাতে রাজধানী এথেন্সে দাঙ্গা পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়। কারণ গ্রীক জনগণ এ নজিরবিহীন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রচ- প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। গ্রীসের সরকারবিরোধী দলের নেতা এন্টোনিস সামারাস ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার জন্য জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রীক সেন্ট্রাল ব্যাংক সরকারকে কার্যত উপেক্ষা করে ব্যাংকগুলোর ওপর বাধা নিষেধ আরোপ করে। এটি দেশটিতে ক্রমশ বিশৃঙ্খলা দেয়ারই আভাস। এমনকি দেশটির প্রধান জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পেট্রোল পাম্পগুলো তেলশূন্য হয়ে পড়বে না বলে জনসাধারণকে আবারও আশ্বস্ত করে এক বিবৃতি দিতে হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের মধ্যে রবিবার রাতে জরুরী কথাবার্তা হয়। তারা বলেন, গ্রীসের আলোচনায় ফিরে যাওয়া ‘অপরিহার্য’। এর আগে গত সপ্তাহান্তে ১২০০ কোটি ইউরোর বেইল আউট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ভেঙ্গে পড়ে।
×