ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিবারাত্রির টেস্ট এ্যাডিলেডে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১ জুলাই ২০১৫

দিবারাত্রির টেস্ট এ্যাডিলেডে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তর্ক-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দিবারাত্রির টেস্টের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এ্যাডিলেড। গোলাপি বলে ফ্লাডলাইটের আলোয় প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে এ বছর ২৭ নবেম্বর, যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ওয়েবসাইটে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আসন্ন গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্টটি হবে দিবারাত্রির। ২৭ নবেম্বর থেকে খেলাটি হবে গোলাপি বলে।’ বলেন সিএই চীফ এক্সিকিউটিভ জেমস সাদারল্যান্ড। টেস্ট ম্যাচে বেশি করে দর্শক মাঠে টানতেই যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ কাজ থেকে ফিরে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ শেষ করে খেলা দেখতে মাঠে আসতে পারবে বলে মনে করেন সাদারল্যান্ড। দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এবার সেটি বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে এ্যাডিলেড ওভাল। ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ২:৩০ মিনিটে। ‘ডিনার ব্রেক’ রাত ৯:৩০ এ। দিনের আলোয় ৪০ মিনিটের মতোই হবে ‘ডিনার ব্রেকে’র সময়। আর দ্বিতীয় সেশনে ২০ মিনিটের ‘টি-ব্রেক’। ১৮৭৭Ñএ প্রথম টেস্ট থেকে রাজকীয় এই খেলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, এবার তাতে আসতে যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।’ অনেকটা বিতর্কের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। খোদ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রধান (এনজেডসিপিএ) নির্বাহী হিথ মিলস জানিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নয় ব্ল্যাক ক্যাপস ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কয়েক মাস আগে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছিল যাতে আমরা এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের মতামতটা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু ফলাফল যা এসেছে, তাতে করে এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি ডে-নাইট টেস্ট খেলার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের মনোভাব সমর্থনসূচক নয়!’ অন্যদিকে গোলাপি বল প্রস্তুতকারক কোম্পানি কোকাবুরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্রেট এলিয়ট বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরেই অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে এমসিস, ইসিবি ও সিএ গোলাপি বলে প্রচুর সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে। এটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। আশা করছি মাঠের ক্রিকেটার থেকে, গ্যালারির দর্শক সবাই এই বলে আনন্দ পাবেন।’ এটা ঠিক যে, দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে কেবল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডেই নয়, ব্যাপক পরীক্ষা-নীরিক্ষা হয়েছে ইংল্যন্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। এরই মধ্যে দু’দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে গোলাপি বল ও ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৃষ্টি ও আলোর স্বল্পতার জন্য পাঁচ দিনের টেস্ট ভাল মতো শেষ হতে পারে না। ফলহীন আভিজাত্যের ক্রিকেট দিন দিন আকর্ষণ হারাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যেই নতুন এই পদক্ষেপ।
×