ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টি২০ অনুশীলনে মাশরাফি-সাকিবরা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১ জুলাই ২০১৫

টি২০ অনুশীলনে মাশরাফি-সাকিবরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টি২০ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। সেটাও ছিল দীর্ঘদিন পর। তবে সেই ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। এরপর আর কোন টি২০ খেলার সুযোগ হয়নি ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও। ঘরোয়া কোন টি২০ ম্যাচও খেলেননি ক্রিকেটাররা। কিন্তু এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শুরুটাই দুই ম্যাচের টি২০ দিয়ে। সে জন্য সময় আছে মাত্র ৪ দিন। এ কারণে সোমবার অনুশীলন শুরু করা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা মঙ্গলবারই দুই দলে বিভক্ত হয়ে একটি টি২০ ম্যাচ খেললেন। তবে ব্যাটিং অনুশীলনের প্রতিই মনোযোগ দেয়া হলো। এ কারণে মাশরাফি বিন মর্তুজার সবুজ দলের বিপক্ষে আগেভাগেই জিতে গেলেও সাকিব আল হাসানের লাল দল ব্যাটিং করল নির্ধারিত ২০ ওভার পর্যন্ত। আর সেখানে শেষ পর্যন্ত কিন্তু মাশরাফিই জয়ী হলেন! সোমবার অনুশীলন শুরু করলেও মূলত ব্যাট-বল নিয়ে নামেননি ক্রিকেটাররা। ফিটনেস ঠিকঠাক করার জন্য হালকা ব্যায়াম করেছিলেন। মঙ্গলবারই দুই দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লেন ক্রিকেটাররা। টি২০ অনুশীলন ম্যাচ হলেও এখানে প্রাধান্য থাকল ব্যাটিংয়ে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি দল। ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডি এ তিনটি বিভাগেই দারুণ শক্তিশালী তারা। এ কারণে প্রোটিয়া শিবিরের বিপক্ষে জেতার জন্য অবশ্যই ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু করতে হবে। আর টি২০ ম্যাচ মানেই হচ্ছে রানের লড়াই। তাছাড়া সম্প্রতিই আইসিসি যে সব নতুন নিয়মের প্রবর্তণ করেছে সে সবের শুরুই হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে। সবকিছু ভেবেই প্রস্তুতি ম্যাচ। নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া এবং ব্যাটিং করে ঝালিয়ে নেয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং শক্তিতে দারুণ সমৃদ্ধ। এছাড়া তাদের আছে ত্রাস ছড়াতে সক্ষম দারুণ পেস আক্রমণ। সেই সঙ্গে স্পিন বিভাগ একাই সামাল দিতে পারেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইমরান তাহির। দুর্ধর্ষ বোলিং ঠেকাতে এবং শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের করা বড় সংগ্রহ ছুঁতে ভাল ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই। দুই ভাগে বিভক্ত হলেন ক্রিকেটাররা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে মাশরাফির সবুজ দল। কিন্তু ব্যাটিংয়ের অনুশীলনে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এর পেছনে সাকিব ও তাইজুল ইসলামের মিতব্যয়ী বোলিং। তবে লাল দলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপক্ষে একাই দারুণ ব্যাটিং করেছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তিনি ৪৩ বলে ৫৭ রানের ভাল একটি ইনিংস খেলেন। এছাড়া ইমরুল কায়েস ২৪ বলে ৩৪, মাশরাফি ২১ বলে ১৪ ও রনি তালুকদার ১০ বলে ১১ রান করেন। সবুজ দল পায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান। তাইজুল ২৫ রান দিয়ে তিন এবং সাকিব ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। জবাব দিতে নামা লাল দলের লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয় ১৯৬। শুরুতেই তামিম ইকবাল বিধ্বংসী সূচনা করেন। তিনি ৩০ বলে ৫২, এনামুল হক বিজয় ৩২ বলে ৪৮, সাকিব ২২ বলে ৪৩ রান করলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান পায় লাল দল। এদিন বোলিং করেছেন সোহাগ গাজীও। সাব্বির রহমান ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও দারুণ বোলিং করে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। সবমিলিয়ে ক্রিকেটারদের ভাল একটি দিন কেটেছে ব্যাটিং অনুশীলনে।
×