ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১ জুলাই ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

অপপ্রচার রোধে বর্তমান সরকার অনেক বিষয়ের স্বচ্ছ ও সত্যতা জনসম্মুখে তুলে ধরার যে রাষ্ট্রীয় তথ্যব্যবস্থা ছিল তার যথাযথ ব্যবহার করছেন, তা নয়। যার ফলে অস্পষ্টতার ধূম্রজাল সৃষ্টি করে বিভ্রাট ছড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তিলকে তালে পরিণত করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা যেমন করা হয়, তেমনিভাবে জনগণের মানসিকতায় সরকার সম্পর্কে বিরূপ ধারণার আধিপত্য ঘটায়। অপপ্রচারকে রুখে দিতে হলে সঠিকভাবে সঠিক তথ্য পরিবেশন করে জনগণের কাছে সত্য বিষয়টি তুলে ধরা জরুরী। সরাসরি সম্প্রচারমাধ্যমগুলো যদি যথাযথভাবে, যথাসময়ে বিষয়গুলো উপস্থাপন না করে তবে ধোঁয়াশা কাটানো কঠিন। সরকারকে দেশের স্বার্থে অপপ্রচার রোধ করে জনগণকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার পদক্ষেপ নিতে হবে। এম ওয়াজেদ বাবর রোড, ঢাকা ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব লালবাগের কেল্লা মোগল স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন। চার শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কেল্লা উপমহাদেশের অহঙ্কার। ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এই মোগল স্থাপত্য মিলেমিশে একাকার। প্রতœতত্ত্ব ও পুরাকীর্তি হিসেবে রয়েছে এর বিশেষ গুরুত্বও। যুবরাজ মুহম্মদ আজম বাংলার সুবেদার থাকাকালীন ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তৎকালীন আওরঙ্গবাদ দুর্গ নামেও এর পরিচিতি ছিল। প্রাচীন এই পুরাকীর্তি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসেন। সম্প্রতি প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের উদ্যোগে লালবাগ কেল্লার সীমানা প্রাচীরের একাংশ ভেঙ্গে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করা হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসীসহ দেশের সচেতন মানুষ এতে স্তম্ভিত, বিস্মিত। একটি ঐতিহাসিক স্থাপনার মূল নক্সাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কিভাবে দিন-দুপুরে ভেঙ্গে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করার সিদ্ধান্ত নেয়া যায় তা চিন্তা করা যায় না। পৃথিবীর সব দেশে এরকম ঐতিহ্যম-িত স্থাপনার মূল নক্সাকে অবিকৃত রাখতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অথচ কি আশ্চযর্, আমাদের দেশে হচ্ছে ঠিক তার উল্টো! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লালবাগ কেল্লার সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ-নিন্দার ঝড় বইছে। অবশেষে হাইকোর্ট এই ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙ্গে কার পার্কিয়ের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিহাস সচেতনরাও মনে করছেন, শুধু লালবাগ কেল্লাই নয়, যে কোন ঐতিহাসিক স্থাপনার সংরক্ষণ ও তার মূল নক্সা অবিকৃত রাখতে প্রয়োজনে যে কোন কঠোর সিদ্ধান্ত সরকারকে দ্রুত নিতে হবে। মনে রাখা দরকার, ঐতিহ্যের সংরক্ষণ করা না গেলে আমরা একদিন অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ব। এমএ সালেহ নারিন্দা, ঢাকা
×