ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইবির বাজেট ৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১ জুলাই ২০১৫

ইবির বাজেট ৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা

ইবি সংবাদদাতা ॥ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চাহিদা দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকারের নিকট এ বাজেট হস্তান্তর করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আফজাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আকামুদ্দিন বিশ্বাস, উপ-পরিচালক মোঃ ছিদ্দিক উল্যা প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বাজেট চাহিদা দেয়া হয়। উক্ত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বরাদ্দ দেয় ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকাসহ মঞ্জুরি কমিশন সর্বমোট ৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ দেয়। বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বেতন ও ভাতাদি খাতে ৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ১ কোটি টাকা, সরবরাহ ও সেবা (সাধারণ আনুষঙ্গিক) খাতে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, সরবরাহ ও সেবা (শিক্ষা আনুষঙ্গিক) খাতে ৬ কোটি টাকা, মেরামত, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৭০ লাখ টাকা, সম্পদ সংগ্রহ/ক্রয় খাতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া প্রদত্ত বাজেটের বাইরে গবেষণা খাতে আলাদাভাবে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। খাদ্য নিরাপত্তায় মংলায় নির্মিত হচ্ছে সাইলো অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সবুজে ঘেরা সুন্দরবন ঘেঁষে মংলা বন্দরের জয়মনিতে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক নৌবন্দরভিত্তিক খাদ্যগুদাম (কনক্রিট গ্রেন সাইলো)। প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ সাইলো উপকূলবাসীর ত্রাণ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ১৯ জেলার খাদ্য নিরাপত্তা দেবে। আমদানি করা খাদ্যশস্য বিষক্রিয়া ছাড়া মজুদ ও দ্রুত সময়ে খালাসের জন্য জাপান ডেবট ক্যান্সেলেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে এ সাইলো। ইতোমধ্যে ৭৭-৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে সাইলোর নির্মাণ কাজ। বিশালাকারের ক্রেনসহ নানা ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজে ব্যস্ত বহু শ্রমিক। পশুর নদকে কেন্দ্র করে সুবিশাল এ সাইলোর নির্মাণযজ্ঞ দেখতে ভিড় করছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা কৌতূহলীরা। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ১মবার দায়িত্ব নেয়ার পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট ও বৈদেশিক মন্দা চলছিল। সে সঙ্কট কাটতে না কাটতেই ২০০৯ সালের মে মাসে খুলনা ও বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। এতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভবিষ্যতে এমন ঝড় পরবর্তী সঙ্কট মোকাবেলায় এবং অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে তখন উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য মজুদের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে সারাদেশে খাদ্যগুদাম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নতুন খাদ্যগুদাম, সাইলো ও অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যমান খাদ্যগুদাম ও অন্যান্য অবকাঠামো মেরামত ও আধুনিকায়নকে বর্তমান সরকার তৃতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করছে। এরই অংশ হিসেবে মংলাতে এ সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
×