ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খানাখন্দে ভরা সড়ক

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ১ জুলাই ২০১৫

খানাখন্দে ভরা সড়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩০ জুন ॥ রাণীনগর সদর-আবাদপুকুর-আত্রাই সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় খানাখন্দকে ভরপুর। দেখে মনে হবে এ যেন রাস্তা নয়, ছোট ছোট পুকুরের মতো গর্ত। এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার। রাণীনগরের প্রাণকেন্দ্র বিএনপির মোড় থেকে উপজেলার আবাদপুকুর যাওয়ার মাঝে, রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এবং সোনাকানিয়া-শিম্বা যাওয়ার মাঝে পুরো পাকা রাস্তার মাঝে মাঝে পিচ-খোয়া উঠে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে এসব বড় বড় গর্তের। দীর্ঘদিন যাবত এসব বড় বড় গর্তসহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় আজ ওই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীর দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল হওয়াই এই বিদ্যালয়সহ মহিলা কলেজে যাতায়াত করতে প্রতিক্ষণই বিপদে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহীরা, ভ্যান ও ভটভটি চালকরা এই বিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন জায়গা দিয়ে চলাচল করায় বিপদে পড়তে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবু মোঃ শফিউল আজম জানান, প্রধান সড়কের এই বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উর্ধতন মহলে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। মংলায় কাজ চলছে ঢিমে তালে দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মংলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভার অধিবাসীরা বর্ষার মধ্যে চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছে। প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও ড্রেন কাম ফুটপাথ নির্মাণের নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হলে অতিরিক্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থাতেও বৃষ্টির মধ্যে কাজ চলছে ধীরগতিতে। এতে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও এ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে পৌরসাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে শহরের অধিকাংশ সড়কই এখন যেন চাষের ক্ষেত হয়ে পড়েছে। পৌরবাসীকে পানি কাদা মাটির মধ্যে দারুণ ভোগান্তির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে পুরো শহরের সড়কের বেহাল দশার কারণে এর প্রভাব পড়েছে আসন্ন ঈদ বাজারে। সড়কের ভগ্ন দশার কারণে ব্যবসায়ীরা তেমন বিকিকিনি করতে পারছে না। জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে প্রথম শ্রেণীর মংলা পোর্ট পৌরসভা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়ক ও সড়কের পার্শ্বে ড্রেন-কাম ফুটপাথ নির্মাণের কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পগুলোর কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলার দরুন কাজ চলতে থাকে অতন্ত ধীরগতিতে। এক বছরের নির্ধারিত সময় পার হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে অতিরিক্ত আরও তিন মাস সময় বর্ধিত করে নেয়। এ অতিরিক্ত সময়ের ইতোমধ্যে এক মাস সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এ অবস্থায় বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
×