ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে ১০ পুলিশ বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ১ জুলাই ২০১৫

বরিশালে ১০ পুলিশ বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মেট্রোপলিটন পুলিশের পদোন্নতি দেয়ার কথা বলে উত্তোলনকৃত কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের ঘটনায় ১০ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছেন। এ সংক্রান্ত আদেশ ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে এসে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় রয়েছে রিজার্ভ অফিসের এএসআই আনিসুজ্জামান, এএসআই (বিএমপি নং-৯০) মনির হোসেন, নায়েক (বিএমপি নং-৩৩৫) কবির হোসেন, ড্রাইভার (কংনং-৯৭৮) শহীদুল ইসলাম, (কংনং-৩৬৩) বাবলু জমাদ্দার, রেশন স্টোরের (কংনং-৭৯৭) আব্বাস উদ্দিন, (কংনং-৭২২) আরিফুর রহমান, ডিবির কনস্টবল (কংনং-৪১৩) তাপস কুমার ম-ল, ড্রাইভার (কংনং-৫২৫) দোলন বড়াল। এছাড়া বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা কর্মরত ও সদ্য বদলিকৃত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দফতরের এসপিবিএনয়ের এএসআই হানিফকে অপর এক আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্র মতে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৩০ সদস্য-সদস্যা পুলিশের বিশেষ পরীক্ষায় পদোন্নতির জন্য পাস করে বসে আছেন। শূন্য পদ না থাকায় তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এর মধ্যে কনস্টবলদের নায়েক, হাবিলদার ও এএসআই পদে পদোন্নতির জন্য কনস্টবল বাবলু, নায়েক কবির, এএসআই মনিরসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ২৩০ জনের কাছে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা করে প্রায় এক কোটি টাকা চাঁদা তোলে। বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জানাজানি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দফতরে তোলপাড় শুরু হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে, এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পর ওই তিনজনের নামে খোলা যৌথ এ্যাকাউন্টে ঘুষের ১৬ লাখ টাকা রাখার হিসেব মিললেও বাকি টাকার হদিস পাচ্ছে না তদন্ত কর্মকর্তারা। গত ১৭ জুন বরিশাল পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে পুলিশের সিকিউরিটি সেল ওই তিনজনকে ঢাকায় নিয়ে আলাদা-আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা তোলার বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে পরবর্তীতে রিজার্ভ অফিসের এএসআই আনিস ও কামালকে সিকিউরিটি সেল ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধতন একাধিক কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসে। সিকিউরিটি সেলের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়টি সত্য। দীর্ঘদিন কতিপয় উর্ধতন কর্মকর্তার যোগসাজসের কারণে এসব ঘটনার জন্য প্রকৃত পদোন্নতিপ্রাপ্তরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বছরের পর বছর। সব ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×