ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুযোগ কাজে লাগাতে চান রাবাদা

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২ জুলাই ২০১৫

সুযোগ কাজে লাগাতে চান রাবাদা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডেল স্টেইন-মরনে মরকেলের মতো তুখোড় তিন পেসার ছাড়াই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি২০ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। উপমহাদেশের পিচ এমনিতে দ্রতগতির বোলারদের জন্য কঠিন জায়গা, তার ওপর প্রতিষ্ঠিত পেসার নেই। নবীনদের ওপর তাই চাপ থাকবে। কঠিন পরিস্থিতিতেই পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে চান ২০ বছর বয়সী কাগিসো রাবাদা। গত অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে দুরন্ত বোলিং করে নির্বাচকদের নজড় কাড়েন জোহানেসবার্গে জন্ম নেয়া কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ। গত নবেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে টি২০ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক, খেলেছেন মাত্র ৩টি ম্যাচ। সফরে টি২০’র পাশাপাশি ওয়ানডে-টেস্ট দলেও রয়েছেন তিনি। ‘সত্যি বলতে, উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার খুব অভিজ্ঞতা নেই আমার। সুতরাং এটা আসলেই চ্যালেঞ্জিং।’- বলেন রাবাদা। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলা। এই স্বপ্নটা আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। কিন্তু কাজটা সহজ নয়। স্টেইন, ফিল্যান্ডার, পারনেলদের মতো বিশ্বখ্যাত সব পেসার আমাদের দলে। এজন্য একটাই পথ। পারফর্ম করতে হবে। যে কোন ফরম্যাটে সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। সুতরাং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাকে ভাল খেলে যেতে হবে।’ বয়স বিশে পড়েছে গত ২৫ মে, উপহামেশে খেলার ব্যপক অভিজ্ঞতাটা কোথা থেকে আসবে? তবু অনুপ্রেরণার একটা জায়গা আছে রাবাদার। ২০১৪ সালে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মরুর দেশ আরব আমিরাতে। সেখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশের মতোই। প্রোটিয়া তরুণদের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রাবাদা। তাছাড়া অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে একবার ভারত সফরও করেছেন, যা তরুণ এই গতি তারকাকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ‘কোচ, অধিনায়ক ও সিনিয়রদের কাছ থেকে জেনেছি, আমিরাত ও বাংলাদেশের কান্ডিশনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। গত টি২০ বিশ্বকাপে দারুণ সময় কাটিয়েছি। আমরা শিরোপা জয়ের আনন্দ করেছিলাম, যা আমাকে বাংলাদেশ সিরিজে ভাল করতে অনুপ্রাণিত করবে। তবে এটা ঠিক, অনুর্ধ-১৯ আর জাতীয় পর্যায়ে খেলাটা এক নয়। আমাকে তাই সেরাটাই দিতে হবে।’ ভারনন ফিল্যান্ডার পেস আক্রমণে অন্যতম ভরসা, পাশাপাশি টেলএন্ডে দারুণ ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে টেস্টে আইসিসি র‌্যাঙ্কিয়ের দ্বিতীয় স্থানে ফিল্যান্ডার। সুতরাং লঙ্গার ভার্সনে ভাল ব্যাটিংটাও জরুরী বলে মনে করেন রাবাদা। তরুণ প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য অবশ্যই বল হাতে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। পাশাপাশি অনুশীলনে ব্যাটিং নিয়েও কাজ করছি। ভারনন-স্টেইনদের সঙ্গে খেলার সুযোগ হলে আরও অনেক কিছু শিখতে পারব।’ বাংলাদেশে পা রেখেই টি২০ অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দু’জনই বলেছেন, সফরটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ টাইগাররা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। পাশাপাশি তরুণদের জন্য এটা বড় সুযোগ বলেও মন্তব্য করেন তারা। ‘টি২০-তে পেস আক্রমণে স্টেইন-মরকেলের পাশাপশি সেরা স্পিনার তাহিরকেও পাওয়া যাবে না। আশা করছি কাইল এ্যাবট, ওয়াইন পারনেল, বোরেন হেনড্রিকস, ডেভিড ওয়াইজ, ক্রিস মরিসরা ভাল করবে। সঙ্গে তরুণ কাগিসো রাবাদার জন্য এটা দারুণ সুযোগ। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা।’- বলেন ফাফ। রাবাদা নিজেও সেটা বোঝেন।
×