ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবারের ক্ষোভ

ফেলানী হত্যা মামলায় অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৪ জুলাই ২০১৫

ফেলানী হত্যা মামলায় অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে আদালত। গত ৩০ জুন ৩ মাস ৫ দিন পর বিচার কাজ শুরু হয়। আদালত ৩ কার্যদিবস চলার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বিএসএফের বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনীতে বিএসএফের আধিকারীক সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য এ বিচার কাজ পরিচালিত হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আদালত তাদের রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামি অমিয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত না করে খালাস দেয়া হয়। রায়ের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। এদিকে অপ্রত্যাশিত এ রায়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেলানীর বাবা-মা। তারা মেয়ে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন। ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরু জানান, দুই দফা সাক্ষ্য দেয়ার পরও তার মেয়ের হত্যার ন্যায্যবিচার পাননি তিনি। তিনি এ রায় প্রত্যাখ্যান করেন। তার মতে অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল। তা না করে ভারত সরকার বিচারের নামে তামাশা করেছে আমাদের সঙ্গে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আবারও আবেদন করবো। কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এ রায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এর ফলে সীমান্ত হত্যার ক্ষেত্রে বিএসএফ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি করবে। এ রায় মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী’। তিনি জানান, ভারতীয় সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারেন। পাশাপাশি ফেলানীর বাবা এ রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। কুড়িগ্রাম বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আদালতের রায় এখনও অফিসিয়ালি আমরা পাইনি। পেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় ভারতের চৌধুরীহাট বিএসএফ ক্যাম্পের অমিয় ঘোষ ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে।
×