ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাশরাফির অভিযোগ নিরাপত্তা নিয়ে

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৫ জুলাই ২০১৫

মাশরাফির অভিযোগ নিরাপত্তা নিয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রতিটি সিরিজ এলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নানা ধরনের মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার নামে আসলে যাদের হেনস্তার শিকার হতে হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা আসলে বিশেষ অনুমতি পাওয়া কার্ডধারী ব্যক্তি। অথচ এই কড়া নিরাপত্তার ভেতরেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর অনেক ধরনের ঘটনা। আর প্রতিটি ঘরোয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই এমন ঘটনায় লাঞ্ছনার শিকার হন সংবাদকর্মীরা পর্যন্ত। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই নিরপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি। আর সেটার শিকার হলেন একজন সাংবাদিক। যদিও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা স্বয়ং এবার নিরাপত্তা শিথিলতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। দেশের ক্রিকেটারদের জন্য নিরাপত্তার ফাঁকফোকর গলে অনাহূত অনুপ্রবেশকারীরা হয়ত বিপজ্জনক নাও হতে পারেন। কিন্তু সফরকারী বিদেশী ক্রিকেটারদের জন্য এটা নিরাপত্তার হুমকি হতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। প্রতিটি ঘরোয়া সিরিজেই নতুন করে কিছু অযাচিত ঘটনা তৈরি হয়। পাকিস্তান সিরিজে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে এক বিদেশী সাংবাদিকের মোবাইল চুরি যায়। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ চলার সময় এক সাংবাদিকের চুরি যাওয়া মোবাইলসহ ধরা পড়ে এক বহিরাগত। অথচ বিসিবির বিশেষ কার্ডধারীরাও মাঠে প্রবেশের সময় বার বারই হয়রানির শিকার হন নিরাপত্তার অজুহাতে। এটি সম্ভবত সংবাদমাধ্যমের কর্মরতদের ওপর বেশি কড়াকড়ি করে প্রয়োগ ঘটানো হয় বোঝানোর জন্য যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিñিদ্র। তাহলে ওই চুরির ঘটনাগুলো ঘটে কী করে? আর খেলা শেষে বহিরাগত দর্শকরা প্রতিটি সিরিজেই মাঠে প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে মাশরাফি নিজেই বললেন, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচে দেখেছি, মাঠে অনেক দর্শক ঢুকে গেছে, হয়ত বাইরে থেকে চলে এসেছে। এই জিনিসগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচে হলে বাইরের খেলোয়াড়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। তাদের কাছে মনে হতে পারে, এটা আবার কেমন? এগুলো আগে কখনও হয়নি, শেষ সিরিজেই আমি দেখেছি। অবশ্যই নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা খেয়াল করবেন।’ অথচ শনিবার অনুশীলনের সময় বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীর হাতে লাঞ্ছিত হলেন এক সাংবাদিক। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই সবকিছুর একটা প্রটোকল আছে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা যদি বলেন, সবার একটা কার্ড আছে; এমনকি আমরা খেলোয়াড়রাও কিন্তু ড্রেসিংরুমে ঢোকার সময় নিশ্চিত হই, কার্ড সঙ্গে আছে কি-না। আমাদেরও কার্ড নিয়েই ঢুকতে হয়। একটা প্রটোকলের ভেতর দিয়েই এই স্টেডিয়ামের সবকিছু চলে। কাউকে যদি শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় সেটা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কারোর জন্যই কাম্য নয়। অবশ্যই সিরিউরিটি যারা আছেন, তাদের কিছু কাজ থাকে যেন সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চলে। আমাদেরও দায়িত্ব সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চালানোর। এর ভেতরে কোনকিছু হলে সেটা বোঝাপড়ার মাধ্যমে ঠিক হোক, সিরিজের আগে আমি সেটাই চাই।’ পরে অবশ্য বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আর যেন এমন কিছু না ঘটে সেদিকে আমরা বিশেষভাবে মনোযোগী হব।’
×