ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ২৮ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৬ জুলাই ২০১৫

সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ২৮ কোটি টাকার  চিনি অবিক্রীত

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকলে গত তিন মাস ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। এদিকে চিনিকলের গোডাউনে অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকা বিগত চারটি মাড়াই মৌসুমে ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন চিনি (যার বাজারমূল্য ২৮ কোটি ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৪শ’ টাকা) বিক্রি না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না। সেচিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদ উল্লাহ জানান, সেতাবগঞ্জ চিনিকলের গোডাউনে গত ২০১১-১২ মৌসুমের ২৫১১.৮৫ মেট্রিক টন, ২০১২-১৩ মৌসুমের ২৯৪৪.৯৫ মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ মৌসুমের ৬২.২০ মেট্রিক টন ও ২০১৪-১৫ মৌসুমের ২১০৭.৩২ মেট্রিক টন সর্বমোট ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ২৮ কোটি ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৪শ’ টাকা প্রায়। চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, বাজারে সাদা চিনি ৪০ থেকে ৪২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে দেশীয় চিনি লালচে হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা কম। তবে ইতোমধ্যে দেশীয় কিছু চিনি রিফাইন করে প্যাকেটজাতের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরও বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রীত থাকায় মিলটি চরম দেনার মধ্যে পড়েছে। মিলের ব্যবস্থাপক (অর্থ) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসে মিলটিতে শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও ফার্মের লেবারদের আনুমানিক এক কোটি দশ লাখ টাকা বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই টাকা চিনি ও মেলাসেস বিক্রি করেই পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও সময়মতো চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণে বেতন-ভাতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেচিকের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, চিনিকলের গত মে-জুন ও বর্তমান জুলাই মাসের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতন দেয়া হয়নি। সামনে ঈদ উপলক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের পাশাপাশি ঈদ বোনাস দিতে না পারলে মিলটিতে চরম শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
×