প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফলের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছেন অদম্য মেধাবী ছাত্রী ইরা সিঙ্ঘল। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ২০১৪ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধা তালিকার প্রথম চারটি স্থানই মেয়েদের দখলে। এই চারজনের মধ্যে তিনজন দিল্লীর বাসিন্দা।
ইরা দিল্লীর বাসিন্দা। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও ৩০ বছর বয়সী ইরা অসংরক্ষিত প্রার্থী হিসেবেই পরীক্ষায় বসেছিলেন। তার স্বপ্ন, আইএএস অফিসার হয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করবেন। ২০১৩ সালে ইউপিএসসি পাস করে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার এক সাক্ষাতকারে ইরা বলেন, আমি যে স্বপ্ন দেখি তা আইএএস অফিসার না হলে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আগে সফল হলেও ফের পরীক্ষায় বসেছিলাম। কিন্তু এত ভাল ফল আশা করিনি। ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন ইরা। কিন্তু তাকে চাকরি দেয়া হয়নি। কারণ কর্তৃপক্ষ জানান, তিনি শারীরিকভাবে এই চাকরির জন্য উপযুক্ত নন। তবে প্রতিকূলতার কাছে হার মানেননি তিনি। প্রমাণ করেছেন নিজের মেধা ও যোগ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব। সেন্ট্রাল এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের সহায়তায় তিনি তার শারীরিক সক্ষমতার রিপোর্ট জমা দেন। তারপর দু’বছর নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন কর্মক্ষেত্রে। এবারের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ফাঁকে তিনি স্প্যানিশ ও ইংরেজীর শিক্ষক ছিলেন নয়াদিল্লীর সাফদারজং এনক্লেভে। এই পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন কেরালার বাসিন্দা রেণু রাজ। পেশায় চিকিৎসক রেণু প্রথমবার এই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী নিধি গুপ্ত এবং বন্দনা রাও, দু’জনেই দিল্লীর বাসিন্দা। নিধি বর্তমানে কাস্টমস এ্যান্ড সেন্ট্রাল এক্সাইজ বিভাগে এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে কর্মরত। গত বছর আগস্টে ইউপিএসসির প্রিলিমিনারি এবং ডিসেম্বরে লিখিত পরীক্ষার পরে উত্তীর্ণ হন ৩,৩০৮ জন।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সফল পরীক্ষার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্ট হয়। ৩০ জুন সেই পর্ব শেষ হয়। তারপরই শনিবার ১,২৩৬ জন সফল প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। পার্সোনালিটি টেস্ট শেষ হওয়ার চার দিনের মাথায় ইউপিএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সফল পরীক্ষার্থীদের টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।-বাসস ও আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: