ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অপ্রতিরোধ্য কারবারীরা

জামালপুরে হাত বাড়ালেই মাদক

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ৭ জুলাই ২০১৫

জামালপুরে হাত বাড়ালেই মাদক

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৬ জুলাই ॥ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে জামালপুরের মাদক কারবারীরা। হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশী-বিদেশী মদ ও নেশার ইনজেকশনসহ নানা প্রকারের মাদক। আর এই মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে তারুণ্য হারাচ্ছে যুব সমাজ। বিপাকে পড়ছে অভিভাবকরা। মাদক প্রতিরোধে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গতানুগতিক অভিযান অব্যাহত রাখলেও এরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের অভিযানে যারা ধরা পড়ছে এতে দুর্বল অভিযোগপত্র ও আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে ফের চুটিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই মাদক বিক্রেতাদের একটি চক্র শহরের কাচারীপাড়া, মুসলিমাবাদ, বাগেরহাটা, ফুলবাড়িয়া, চালাপাড়া বিসিক শিল্পনগরীসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে ইয়াবা, হেরাইন, ফেনসিডিল, গাঁজা ভারতীয় মদ ও নেশার ইনজেকশনসহ নানা প্রকারের মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানের কাচারীপাড়ার কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা রিপন, মুসলিবাদের রাজু ও মামুন, বাগেরহাটার আলাউদ্দিন ও রুবেলসহ তার বোন চামেলীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ধরাও পড়ে। তবে পুলিশের দুর্বল অভিযোগপত্রের কারণে আদালত থেকে এরা সহজেই জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের ব্যবসা শুরু করে বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। এভাবেই মাদক কারবারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠায় মাদকের শহরে পরিণত হতে যাচ্ছে জামালপুর শহর। এতে এ মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংসের দারপ্রান্তে যুব সমাজ। মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের খনন শেষ হলো না স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শেষ পর্যন্ত জুনেও চালু হলো না আন্তর্জাতিক নৌ-প্রটোকলভুক্ত মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল। নির্দিষ্ট সময়ে মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথ খনন কাজ শেষ করে জুন মাসে চ্যানেলটি জাহাজ চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চ্যানেলটির খননকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হবে এই কাজ। একদিকে পুরোদমে চলছে খননের কাজ। অন্যদিকে জোয়ারের সময় বিপুল পরিমাণে পলি এসে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। দুই দফায় সময় বাড়িয়েও সর্বশেষ জুন মাসের মধ্যে নৌপথটি চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেকের মতো কাজ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
×