ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ৭ জুলাই ২০১৫

বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে সাঁড়াশি অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা দমনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের রুমা, থানছি ও আলী কদমে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। বিজিবি সূত্র জানায়, বান্দরবানের এ তিন উপজেলা সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তের ১৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ অভিযান চলছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, বান্দরবানের এসব উপজেলার সীমান্ত এলাকাগুলো গহিন জঙ্গলে হওয়ায় সেখানে আন্তর্জাতিক চোরাচালানী চক্রের সদস্যরা সক্রিয়। এছাড়া এসব এলাকা দিয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাও চলে। হেরোইনের কাঁচামাল হিসেবে পপি ফুলের চাষ হয়ে থাকে বান্দরবানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। সেনাবাহিনী প্রতিবছর বিভিন্ন পপি ক্ষেত ধ্বংসের অভিযান চালায়। কিন্তু যারা এ পপি চাষে স্থানীয় পাহাড়ী জনগণকে দাদন দিয়ে থাকে তা উদঘাটন করা এ যাবত সম্ভব হয়নি। সীমান্ত সংলগ্ন অরণ্যের এসব পাহাড়ী মানুষগুলো তাদের নিজস্ব ভাষা ছাড়া আর কিছুই জানে না। সেনাবাহিনীর এসব অনগ্রসর উপজাতীয়দের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু এরপরও এদের একটি অংশ বাড়তি অর্থের লোভে পপি ফুলের চাষ করে থাকে। উপজাতীয়দের আরেকটি অংশ অস্ত্রসহ চোরাচালানের কাজেও জড়িয়ে গেছে। বান্দরবান থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকাজুড়ে সীমান্তের বেশকিছু অংশ অরক্ষিত থাকায় সেখানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ বিভিন্ন অপতৎপতায় লিপ্ত। বিজিবি ইতোমধ্যে অরক্ষিত এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ক্যাম্প স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ তিন উপজেলার দু’দেশের সীমান্তে বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপতা বেড়ে যাওয়ার খবরে সেনাবাহিনী বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে এ সাঁড়াশি অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অপতৎপরতা দমনে বিশেষ এ অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানেরই একটি অংশ। সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা, মাদক, অস্ত্র ও বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান রোধে রবিবার থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এ সাঁড়াশি অভিযান চলবে বলে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে।
×