ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুই কোম্পানিকে মোবাইল টাওয়ারের লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ জুলাই ২০১৫

দুই কোম্পানিকে মোবাইল টাওয়ারের লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত

ফিরোজ মান্না ॥ এবার মোবাইল টাওয়ারের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নতুন দুটি কোম্পানিকে টাওয়ার নির্মাণের লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিটিআরসি। এ কারণে টুজি ও থ্রিজি নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন আনা হচ্ছে। নীতিমালায় মোবাইল অপারেটরদের একটি টাওয়ারকে শেয়ার করে ব্যবহার করতে হবে। দেশের বিদ্যুত সাশ্রয়, কৃষি জমি রক্ষায় যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করার ওপর নিধেষজ্ঞাও থাকবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল টাওয়ার ব্যবহারের নীতিমালায় বর্তমানে অপারেটররা নিজেদের মধ্যে টাওয়ার ব্যবহার ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ ভাগাভাগি করে করছে। তবে নতুন নীতিমালায় পুরোপুরিই ভাগাভাগি করেই করতে হবে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে তখন কোন অপারেটর নিজেরা টাওয়ার নির্মাণ করতে পারবে না। যে দুটি কোম্পানিকে টাওয়ার নির্মাণের লাইসেন্স দেয়া হবে তাদের টাওয়ারই ব্যবহার করতে হবে অপারেটরদের। নতুন নীতিমালায় অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত, বিদ্যুত সাশ্রয় ও কৃষিজমি সংরক্ষণ হবে। এই নীতিমালা কার্যকর হলে মোবাইল টাওয়ারের মালিকানা আর অপারেটরদের কাছে থাকবে না। বর্তমানে মোবাইল টাওয়ার তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের সব কাজ মোবাইল অপারেটররাই করত। এদিকে মোবাইল অপারেটররা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এমন সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অপারেটররা মনে করে, টাওয়ার কোম্পানির পাশাপাশি তারাও যেন টাওয়ার নির্মাণ করতে পারে। নীতিমালায় এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে। নেটওয়ার্কের প্রসার ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে হলে অপারেটরদেরও টাওয়ার নির্মাণের অধিকার থাকা দরকার। বিশ্বের অনেক দেশেই টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় যেমন স্বাধীন টাওয়ার কোম্পানি আছে আবার মোবাইল অপারেটররাও টাওয়ার নির্মাণ করে থাকে। ২০০৮ সালে মোবাইল বিটিআরসি প্রথম টাওয়ার ভাগাভাগির নীতিমালা চালু করে। এরপর গত সাত বছরে ১২ হাজার ৬শ’ টাওয়ার নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ভাগাভাগি করে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার ৬শ’ টাওয়ার। এই ভাগাভাগির অংশ প্রায় ৪৫ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজার চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই টাওয়ার নির্মাণ হয়। দেশেও একই ব্যবস্থা থাকলে অপারেটরদের কিছু বলার থাকবে না। বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের কারণে অপারেটরদের ভবিষ্যত বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কিছুটা ভাটা পড়বে। টাওয়ার শেয়ারিংয়ের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই করলে অপারেটরদের টাওয়ারে বিনিয়োগ করতে হতো না। সেক্ষেত্রে অপারেটরদের বিনিযোগের পরিমাণও কম হতো। বিটিআরসির হিসাবে দেশের ছয় মোবাইল অপারেটরের মালিকানায় থাকা মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪শ’।
×