ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে দেয়া যাবে না ॥ ও.কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১২ জুলাই ২০১৫

ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে দেয়া যাবে না ॥ ও.কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ও টঙ্গী, ১১ জুলাই ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন অবস্থাতেই ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে দেয়া যাবে না। যে কোন উপায়ে সবার বাড়ি যাওয়া-আসা নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে হবে। যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হবে। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে প্রকৌশলী, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সরকারী ছুটির দিনসহ এখন রাস্তায় আছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বৃষ্টির অজুহাত আমি শুনব না।’ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বিলবোর্ডকে জন দুর্ভোগের একটি বড় কারণ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আগস্ট পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব, এরপর সেপ্টেম্বর থেকে বিলবোর্ড অপসারণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ডে নেতার সঙ্গে পাতি নেতা, উপনেতা ও সিকি নেতাসহ সবার ছবি আছে। ছবি আছে অনেক চাঁদাবাজদেরও। নিজেদের ছবি দেয়ার জন্যই তারা এসব বিলবোর্ড বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করে। যেখানে সেখানে বিলবোর্ড বসানোর ফলে জনজীবনে নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন বেড়েছে তেমনি এগুলো সড়কের সৌন্দর্যহানি ঘটিয়ে চলেছে। আমাদের অর্জনের সঙ্গে এ বিলবোর্ডগুলো মেলে না।’ তিনি অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আফতাব উদ্দিন খান, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম মোস্তফা কামাল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সবুজ উদ্দিন খান এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দফতরবিহীন মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি কখন, কাকে কোথায় কাজে লাগাবেন, কাকে কখন রাখবেন কাকে বাদ দিবেন সেটা সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।’ তিনি বলেন, ‘আমি আজকে মন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী না চাইলে আগামীকাল আমাকে চলে যেতে হবে। কাজেই এর সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সম্পর্ক আছে, এ ধরনের মন্তব্য আমার কাছে কল্পকাহিনী মনে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে দলে কিছু সাংগঠনিক সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের সরকারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমরা আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। এখানে কোন বিভেদ, কোন্দল বা দ্বন্দ্ব এ যাবত কেউ দেখেনি।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্ষাকালে বৃষ্টি হবেই। বৃষ্টি হবে জেনেই আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। এবারের ঈদে রাস্তার জন্য কোথাও সমস্যা হবে না। আর্থিক কোন সঙ্কট এখানে নেই। এ বিষয়কে অজুহাত দেখিয়ে কেউ যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, এবারের ঈদে অতিরিক্ত আরও ৫০৬টি বিআরটিসি বাস স্পেশাল সার্ভিসে যুক্ত করা হয়েছে এবং আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে রাখা হয়েছে ৫৫টি বাস। এদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মালিক শ্রমিকরা বলেন, আমাদের গাড়ি যখন ফেরত আসে তখন খালি আসে। তারপরও আমি তাদের অনুরোধ করেছি ঈদে যাতে কাউকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না হয় সেজন্য সবার একটা দায়িত্ব আছে। চাঁদাবাজির ব্যাপারেও কিছু কিছু অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে আমাদের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর। আপনারা জানেন, ঢাকায় র‌্যাব কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। কাজেই চাঁদাবাজকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। চাঁদাবাজদের ব্যাপারে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরে তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
×