ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে শুনানি

পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রধান স্বার্থ তুলে ধরলেন জে. ডানফোর্ড

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১২ জুলাই ২০১৫

পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রধান স্বার্থ তুলে ধরলেন জে. ডানফোর্ড

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ্্্স অব স্টাফের পরবর্তী চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ এফ ডানফোর্ড জুনিয়র বলেছেন, পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রধান স্বার্থ রয়েছে : আল কায়েদার পুনরুত্থান ঠেকানো, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অক্ষুণœ রাখা। বর্তমানে মার্কিন মেরিন কোরের প্রধান জেনারেল ডানফোর্ড তাঁর নিয়োগ অনুমোদনের শুনানিতে বলেন, আফগানিস্তানের শান্তিপূর্ণ পরিণাম নিশ্চিত করার জন্যও পাকিস্তানের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। খবর ডনের। বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটের আমর্ড সার্ভিসেস কমিটির তিন ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে আইন প্রণেতারা ভবিষ্যত যুক্তরাষ্ট্র্র-পাকিস্তান সম্পর্কের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। সিনেটের অনুমোদন পেলে জেনারেল ডানফোর্ড ১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর জেনারেল মার্টিন ই, ডেম্পসির স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট এবং আফগান সরকার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আইএসের তৎপরতার প্রতি ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে এবং আইএস হুমকি প্রতিরোধে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করছে। জেনারেল ডানফোর্ড শুনানিতে বলেন, আঞ্চলিক শরিকরা একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ‘আমরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করেছি এবং তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ মোকাবেলায় তাদের সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট।’ পাকিস্তানের সঙ্গে বহুমুখী স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে : ‘যুদ্ধে পরোক্ষ শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইতিবাচক ও স্থিতিশীল পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব।’ জেনারেলের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের মৌলভিত্তি আল কায়েদাকে পরাজিত করা, পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার প্রতি সমর্থন এবং আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সঙ্গে অব্যাহত সহযোগিতা প্রয়োজন। সিজোফ্রেনিয়া ॥ ধূমপান সরাসরি দায়ী ধূমপান সিজোফ্রেনিয়া (চিন্তা ও আচরণের মধ্যে সঙ্গতিহীন মানসিক রোগ) রোগের বিকাশে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক দল জানিয়েছেন, ধূমপায়ীদের মধ্যে অল্প বয়সেই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি সাময়িকীতে প্রকাশিত ৬১টি পৃথক অনুসন্ধানের পর্যালোচনায় আভাস পাওয়া যায় যে, সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা নিকোটিন মস্তিষ্কের পরিবর্তন সাধন করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে বেশ জোরালো বিষয় বলে উল্লেখ করলেও এ ব্যাপারে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানকে সাইকোসিসের (তীব্র মানসিক বিকার) সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হতো। তবে এটি প্রায়ই মনে করা হতে যে, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা বেশি করে ধূমপানে আসক্ত হতে পারে, কারণ তারা সিগারেটকে নিজেই নিজের চিকিৎসা করার একটি মাধ্যম বলে মনে করে। গায়েবি আওয়াজ কিংবা দৃষ্টি বিভ্রমের মানসিক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে তারা ধূমপানের আশ্রয় নিয়ে থাকে। কিংস কলেজের গবেষক দলটি ১৪ হাজার ৫৫৫ জন ধূমপায়ী এবং ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬২ জন অধূমপায়ীর উপাত্ত পরীক্ষা করে। এতে আভাস পাওয়া যায় যে, সাইকোসিসে আক্রান্তদের ৫৭ শতাংশ তাদের মানসিক বিকারে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই ধূমপায়ী ছিলেন। প্রাত্যহিক ধূমপায়ীদের অধূমপায়ীদের তুলনায় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ এবং ধূমপায়ীরা গড়পড়তা এক বছর আগেই সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হন। -বিবিসি
×