স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগ দেশে চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। শনিবার জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাবলু বলেন, সিয়াম সাধনার এ মাসেও মানুষ শান্তিতে নেই। বিশেষ করে চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সারাদেশে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, অস্ত্রবাজি আর সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। জাতি এ থেকে পরিত্রাণ চায়। কেবল জাতীয় পার্টিই পারে দেশের মানুষকে ক্ষমতাসীন দলের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করতে।
রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত ইফতারপূর্বক কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সদস্য সচিব জহিরুল আলম রুবেল, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু, হাজী নূর হোসেন, ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, রফিকুল ইসলাম ঠা-ু প্রমুখ।
কর্মিসভায় বাবলু আরও বলেন, বিগত দুই যুগের বেশি সময় ধরে দেশের মানুষ দুই দলের গণতন্ত্রের নামে একনায়তন্ত্রের যাঁতাকলে পিষ্ট। এই তথাকথিত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষকে জেগে উঠতে হবে। আমরা গণতন্ত্র মানে বুঝি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা। কিন্তু তথাকথিত দুই দলের গণতন্ত্রে এসব উপেক্ষিত।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেছেন, দেশ আজ দুই নেত্রীর কাছে জিম্মি। চলমান দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ গলাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিগত দিনে প্রমাণ হয়েছে তারা জনকল্যাণে রাজনীতি করে না। উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করার প্রমাণ আছে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের। তাই জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জাতীয় পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মিলন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: