স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা হলে দেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। যারা খালেদা জিয়ার বিচারের কথা বলছেন, ভবিষ্যতে তাদেরই বিচারের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান খান রিপন। তিনি বলেন, যে অভিযোগে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের কথা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বাদ না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, একজন মন্ত্রী নিয়মিত মন্ত্রণালয়ে আসেন না বলে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হলো। অথচ দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, পচা গম কেলেঙ্কারির হোতা ও বিদেশে জনগণের টাকা পাচারকারীরা এখনও বহাল রয়েছে। এদের মন্ত্রী পরিষদে বহাল রেখে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না, জনগণের কল্যাণও হবে না।’ বিএনপি বিলীন হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ষাটের দশকে আইয়ুব সরকারের নিপীড়নে আওয়ামী লীগও বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে ছিল। কিন্তু মানুষের ভালবাসায় তারা আবারও ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, নাশকতার সঙ্গে কারা জড়িত, কারা এর হোতা, আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করলেই তা প্রমাণিত হবে। নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন যে দাবি জানিয়েছেন, তার জন্যও প্রস্তুত থাকুন। সরকারের মধ্যে মহল বিশেষ উল্টা-পাল্টা কথা বলে সরকারকে বিব্রত করতে চায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দুই মেয়াদে সরকার গঠন করার পর বিএনপি ও দেশের সুশীল সমাজ দাবি করেছিল সরকারের মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। কিন্তু আজ পর্যন্তও তা করা হয়নি। পত্র-পত্রিকায় সংবাদ আসে সরকারের মন্ত্রীদের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের। আমরা বিস্মিত হই না। তিনি সরকারে মন্ত্রীরা যে সৎ তা প্রমাণের জন্য সব মন্ত্রী এমপিদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের দাবি জানান।
রিপন অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতারা কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে অমানবিক নির্যাতন করে সরকারের কী লাভ তা আমাদের বোধগম্য নয়। আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছে। বিরোধী দলকে এভাবে দমন করে যদি সরকার মনে করে তারা স্বস্তিতে আছে তা ভুল। আসলে তারা স্বস্তিতে নেই। এভাবে দমন জেল জুলুম করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে জনগণের ক্ষোভ স্ফুলিঙ্গ হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।