ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেদেরারকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের নবম গ্র্যান্ডসøাম জিতলেন সার্বিয়ান তারকা

জোকোভিচের সাফল্যের নেপথ্যে বিয়ে-ভালবাসা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৪ জুলাই ২০১৫

জোকোভিচের সাফল্যের নেপথ্যে বিয়ে-ভালবাসা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা নিজের করেই রাখলেন নোভাক জোকোভিচ। উইম্বল্ডনের ফাইনালে রজার ফেদেরারকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারের নবম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের বিস্ময়কর এক কীর্তি গড়লেন সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তিনি ৭-৬ (৭/১), ৬-৭ (১০/১২), ৬-৪ এবং ৬-৩ গেমে ফেদেরারকে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন। টুর্নামেন্টের ফেবারিট ফেদেরারকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত জোকোভিচ। গত বছরের ১২ জুলাই দীর্ঘদিনের বান্ধবী জেলেনা রিস্টিককে বিয়ে করেন নোভাক জোকোভিচ। ফেদেরারকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইম্বল্ডন জয়ের এক সপ্তাহ পরেই রিস্টিককে জীবন-সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন তিনি। এরপর থেকেই যেন রঙ্গিন হয়ে উঠে জোকোভিচের জীবন। গত এক বছরে চার গ্র্যান্ডসøামসহ মোট নয় শিরোপা জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেন জোকোভিচ। আর এই সময় সাত ম্যাচে হার দেখেন তিনি। তাহলে কী জোকোভিচের এই সাফল্যে বিয়ের কোন রহস্য আছে? এমন প্রশ্ন অনেক ভক্ত-অনুরাগীর মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তা মানছেন জোকোভিচ নিজেও। তাই তো জানিয়ে দিলেন গোপন সেই সাফল্যের-রহস্যের কথা। এ বিষয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘এক বছর আগে আমি উইম্বল্ডনের শিরোপা জিতেছিলাম। এই দিনেই (১২ জুলাই) আমি বিয়ে করেছিলাম, একত্রে নতুন জীবন শুরু করেছিলাম। এটা আসলেই আমার জীবনের বিস্ময়কর এক অধ্যায়, যতটুকু সম্ভব তার সবটুকুই উপভোগ করেছি আমি।’ বিয়ের তিন মাস পর প্রথম সন্তান স্টিফানের বাবা হন জোকোভিচ। আর ভাল পারফর্মেন্সের জন্য এটাও জোকোভিচের অনুপ্রেরণা। বিয়ে বদলে দিয়েছে জোকোভিচকে। তাই অবিবাহিত খেলোয়াড়দের বিয়ে করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘আমি হারি কিংবা জিতি সে সবসময়ই আমার পাশে থাকে। যখনই আমি বাড়ি ফিরি তখন আর টেনিস খেলোয়াড় থাকি না। একজন পিতা এবং স্বামীর ভূমিকায় রূপ নেই। আর এটাই আমাকে ভাল পারফর্মেন্সে ভূমিকা রাখে। যখন থেকেই আমি বিয়ে করেছি এবং বাবা হয়েছি। তারপর থেকে খুব বেশি ম্যাচে আমি হারিনি। বরং অনেক টুর্নামেন্টেই জয় পেয়েছি। তাই আমি সব খেলোয়াড়কেই পরামর্শ দেব যে তোমরা বিয়ে করও এবং বাচ্চা নাও।’ আরেকবার আশা জাগিয়ে ব্যর্থ হলেন রজার ফেদেরার। টুর্নামেন্টের শীর্ষ তারকা নোভাক জোকোভিচের কাছে পরাজিত হয়ে শিরেপা বঞ্চিত হলেন টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি। এরপরই ‘ফুরিয়ে যাওয়া’ ফেদেরারের পুরনো প্রশ্নটা নতুন করে ভেসে উঠছে। কিন্তু সুইস তারকা রজার ফেদেরার বলেছেন এখনই বিদায় জানানোর সময় আসেনি। বরং আরও কিছুটা সময় খেলে যেতে চান টেনিস কোর্টে। ২০১২ সালে সর্বশেষ তিনি উইম্বল্ডনের শিরোপা জিতেছিলেন। গত তিন বছর বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পাননি সুইস নাম্বার ওয়ান। নিজের ফেবারিট এই টুর্নামেন্টের আগে আটবার শিরোপা জিতেছেন ফেদেরার। গত বছরও নোভাক জোকোভিচের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে। তাই এবার সুযোগ এসেছিল গতবারের প্রতিশোধের। সর্বশেষ ২২ গ্র্যান্ডসøামের মধ্যে একটিতে জয়ী হয়েছেন ফেদেরার। আগামী মাসে বছরের শেষ গ্র্যান্ডসøাম ইউএস ওপেন শুরু হওয়ার আগেই ৩৪ বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি। তাই অনেকেই মনে করেছিল এবারের আসরেই হয়তবা উইম্বল্ডনকে বিদায় জানাতে যাচ্ছেন ফেড এক্স। ১৭ গ্র্যান্ডসøামের সঙ্গে আরও একটি যোগ করার তাই এবার দারুণ একটি সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী সুইস তারকা মনে করেন এখনও তার সামনে অনেক সময় বাকি আছে। রানারআপ ট্রফি হাতে নেয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফেদেরার বলেন, ‘আমি বিশ্বের এক নাম্বার টেনিস তারকার বিপক্ষে পরাজিত হয়েছি। এই ধরনের খেলোয়াড়ের বিপক্ষে পরাজিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে মনে হয় এটাই স্বাভাবিক। আমিও তাকে কয়েকবার পরাজিত করেছি। আমার মতো এই সুযোগ খুব কম খেলোয়াড়ই পেয়েছে। আমি মনে করি কোর্টে আমি এর প্রমাণ দিয়েছি। ম্যাচটা মোটেই একপেশে হয়নি। এমনকি শেষের দিকেও দারুণ লড়াই হয়েছে। আমি মনে করি আমি সঠিক পথেই আছি। শিরোপার ক্ষুধা এখনও আমার মধ্যে আছে। এই মুহূর্তে চোট মুক্ত থাকাটাই আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
×