ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৫ জুলাই ২০১৫

ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অজিঙ্কা রাহানে বলেছিলেন, তাদের জন্য এটা আত্মবিশ্বাস ফেরানোর সফর, বাংলাদেশ-ব্যর্থতা ঘোচাতে মরিয়া দল। সেটি বাস্তবায়ন করে দেখালেন তারা। কাল শেষ ম্যাচে ৮৩ রানের বড় জয়ের মধ্য দিয়ে স্বাগতিক জিম্বাবুইয়েকে তিন ওয়ানডের সিরিজে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করল তৃতীয় সারির ভারত! তৃতীয় সারির নয় তো কী? ছিলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলিসহ প্রায় অধিকাংশ তারকা ক্রিকেটারই। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন কাদের যাদব (১০৫*)। এছাড়া ৭১ রান করেন অভিষিক্ত মানিষ পা-ে। যার ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ২৭৬ রানের ‘ফাইটিং’ স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে ৪২.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুইয়ে। সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন ওপেনার চামু চিভাবা। স্টুয়ার্ট বিনি ৩, মোহিত শর্মা, হরভজন সিং ও অক্ষর প্যাটেল প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। দুই ম্যাচ টি২০র প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার। সফরে ক্রিকেটের মোড়লদের শুরুটা অবশ্য সহজ ছিল না। প্রায় হারতে হারতে ৪ রানের নাটকীয় জয় পাওয়া প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন আমবাতি রায়ুডু। ১২ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৪১ রান। সেই তিনি ইনজুরি জন্য ছিলেন না কালকের শেষ ম্যাচে। দ্বিতীয় ওয়াডেতে অবশ্য ২৭১ রানের পুঁজি নিয়েও ভাল খেলেছে সফরকারীরা। জিম্বাবুইয়েকে ২০৯ রানে গুড়িয়ে দিয়ে তুলে নিয়েছে ৬২ রানের বড় জয়। ৭২ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়ে ‘নায়ক’ বনে যান ওপেনার মুরলি বিজয়। টানা খেলার ধকল থেকে মুক্তি দিতে এই সফরে নেই নিয়মিত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, টেস্ট কাপ্তান বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেয়া হয়। প্রথম রোহিত শর্মা আর সুরেশ রায়নার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাদেরও বাইরে রেখে আনকোড়া দলটির দায়িত্ব পড়ে রাহানের কাঁধে। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ সফরের ব্যর্থতা ভুলে দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলাই তার প্রথম কাজ। সেটিতে পুরোপুরি সফল প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। টানা তিন জয়ে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুইয়েকে। ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে বিশ্রাম দেয়া হয় রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও উমেশ যাদবের মতো তারকা ক্রিকেটারকে। ফিরিয়ে আনা হয় মনোজ তিওয়ারি, হরভজন সিং ও রবিন উথাপ্পাকে। সঙ্গে ছিলেন নতুন মুখ সন্দীপ শর্মা। এর মধ্য দিয়ে চার বছর পর স্বল্পদৈর্ঘের জাতীয় দলে সুযোগ পান অভিজ্ঞ স্পিনার হরভজন। রাহানেকে অধিনায়ক করা প্রসঙ্গে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ পাতিল বলেছিলেন, ‘ভারতের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার সে। একজন ব্যাটসম্যানের বাইরে তার অন্য সম্ভাবনাময় দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্যই সুযোগ দেয়া।’ সুযোগটা ভালমতোই কাজে লাগালেন রাহানে। স্কোর ॥ ভারত ২৭৬/৫ (৫০ ওভার; যাদব ১০৫*, পা-ে ৭১, উথাপ্পা ৩১, বিনি ১৮*, রাহানে ১৫, বিজয় ১৩; মাদিজভা ২/৫৯, মাসাকাদজা ১/৩১, উতসেয়া ১/৪১) জিম্বাবুইয়ে ১৯৩/১০ (৪২.৪ ওভার; চিভাবা ৮২, চাকাভবা ২৭, মাতুম্বাই ২২, ত্রিপানো ১৩*, রাজা ১৩, চিগম্বুরা ১০; বিনি ৩/৫৫, মোহিত ২/৩৩, হরভজন ২/৫৫, অক্ষর ২/৩৯) ফল ॥ ভারত ৮৩ রানে জয়ী ম্যাচসেরা ॥ যাদব (ভারত) সিরিজ ॥ তিন ওয়ানডে ভারত ৩-০তে জয়ী।
×