ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের অর্থনীতি

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৭ জুলাই ২০১৫

ঈদের অর্থনীতি

রোজার মাস, সংযমের মাস শেষ হতে চলেছে। ঈদ সমাগত। এমন সময়ে ঈদ আসছে এবার যখন বাংলাদেশ একটা বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছে। আমরা নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। দীর্ঘ ৪০-৪২ বছর ছিলাম স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)। বিশ্বব্যাংকের এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে মোট ৪টি কারণ। এগুলো হচ্ছে- অব্যাহত হারে উচ্চতর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীল মূল্যমান এবং নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা। শুধু এই খবরই নয়, এবার ঈদ উদ্যাপিত হবে আরও দুটো বিরল সম্মান দিয়ে। ‘প্রাইস ওয়াটারহাউস’ নামীয় বিশ্ববিখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩১তম। অচিরেই তা হবে ২৯তম যা হলে বাংলাদেশ ধনী দেশের কাতারে উন্নীত হবে। এদিকে অব্যাহত উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনর্বহালের কারণে ‘ওইসিডি’ (অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কর্পোরেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) নামীয় আকেরটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঝুঁকির মান এক স্তর হ্রাস করেছে অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে এখন ব্যবসা করা কম ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভাল ভাল খবর, অর্জন ও বিরল সম্মানের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে সারাদেশে চলেছে ঈদের প্রস্তুতি। সময় আর বেশি নেই। পবিত্র রোজার এই ঈদের আলোচনা করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেয়া যায়। যেমন : ধর্মীয় দিক, সামাজিক দিক, আর্থিক দিক এবং রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক দিক। শেষেরটি দিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক। সমস্ত বড় রাজনৈতিক দলই এখন ব্যস্ত ইফতার পার্টি নিয়ে। এটা আমাদের দেশের রাজনীতির একটা অংশে পরিণত হয়েছে। দলীয় লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত, আন্তঃদলীয় সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের সঙ্গে মোলাকাত-সাক্ষাত একটা রীতি এখন। সরকারও এখন তা করে। এই আলোচনায় আমি যাব না। ধর্মীয় দিকের আলোচনা আমার আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। আমার আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে- রোজার বা ঈদের অর্থনীতি। অর্থনীতি সম্পর্কিত এই আলোচনায় কয়েকটি দিকের ওপর আলোকপাত করা যায়। রোজা বা ঈদের অর্থনীতির আকার কত বড়? এই অর্থনীতির লাভবান পক্ষ কারা? আর্থিকভাবে যারা দুর্বল বা যারা গরিব, তাদের ঈদ কেমন হবে? ঈদের অর্থনীতির আকার সম্পর্কে ধারণা করা খুবই মুষ্কিল। আমাদের দেশে খুচরা বিক্রির তথ্য যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি পাইকারি বিক্রির তথ্যও পাওয়া যায় না। তবুও কয়েকটি দৃশ্যমান খবর থেকে একটা অনুমান করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের খবর, এবার তারা বাজারে ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে। এর অর্থ কী? অর্থ হচ্ছে পুরনো নোট বদলে নতুন নোট দেবে। কী কারণে? বলা হয়েছে, দান-খয়রাত, বকশিশ, সেলামি ইত্যাদিতে সারাদেশের মানুষ নতুন নোট ব্যবহার করে। বলা বাহুল্য, সকল মানুষ নতুন নোট পাবে না। তবু তারা দান-খয়রাত করবে, বকশিশ দেবে, সেলামি দেবে। আমরা অনুমান করতে পারি, এই খরচ ঈদ খরচের অতি ছোট্ট একটা অংশ। শতভাগেরও একভাগ হবে বলে মনে হয় না। এই খরচের টাকা যা বাজারে যাবে তার সঙ্গে যোগ হবে আরও কয়েকটি উৎসের টাকা। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিটেন্সের টাকা। এর পরিমাণ কত? প্রতিবছর বাংলাদেশী ‘ওয়েজ আর্নাররা’ ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠায়। আশি টাকা দরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। মাসে হয় দশ হাজার কোটি টাকা। এ কথা আমরা সবাই জানি, ঈদের মাসে ওয়েজ আর্নাররা কিছু টাকা বেশি পাঠায়। পাঠায় ব্যাংকের মাধ্যমে এবং বেসরকারীভাবে। বেসরকারীভাবে পাঠানো টাকার হিসাব পাওয়া কঠিন। তবু অনুমান তার পরিমাণ সরকারীভাবে পাঠানোর সমান। তাহলে এই লাভ থেকে প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বাজারে আসার কথা। এর ওপর রয়েছে মাসিক বেতনের টাকা, সরকারী ও বেসরকারী খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের টাকা, বোনাসের টাকা। এর পরিমাণ কত? বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠানই হবে ৫৬টি। লিজিং কোম্পানি রয়েছে, বীমা কোম্পানি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই থেকে তিন লাখ লোক চাকরি করে। এরা সবাই মাসিক বেতনের পরও এবার ঈদে উৎসব বোনাস পাবে। আবার পেয়েছে ‘পারফর্মেন্স বোনাস’, যার পরিমাণ মূল বেতনের অনেক সময় তিন-চার-পাঁচগুণ। এই বোনাস এখন সর্বত্রই চালু। অতএব এই উৎসব থেকেও আসবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসবই যাচ্ছে বাজারে। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারে। ভাবা যায়, ঢাকা শহরের বড় বড় শপিংমল, মীনাবাজার, বাজারগুলোতে এখন গভীর রাতেও ক্রেতাদের ভিড়। এই শপিংয়ের খবর প্রতিদিন টিভির পর্দায় আমরা দেখছি, পড়ছি খবরের কাগজে। পাশাপাশি পড়ছি ইফতারের খবর, সেহ্্রির খবর। গুলশান, বনানীর লোকেরা বিশেষ ধরনের ইফতার কিনতে যাচ্ছে পুরনো ঢাকায়। যাচ্ছে ভোররাতে বিশেষ আয়োজনের ‘সেহ্্রি’ খেতে পছন্দের হোটেলে। এটা অর্থনৈতিক শক্তির যেমন লক্ষণ, তেমনি লক্ষণ শান্তিশৃঙ্খলার। উৎপাতের কিছু খবর আছে, কিন্তু তা সহনশীল পর্যায়ের। কাঁচাবাজারের রমরমা অবস্থা রোজার কারণে। চাল, ডাল, নুন, তেল, সয়াবিন, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের বাজার গরম। গরম মসলার বাজার। শসা, বাঙ্গি, আম ও আনারসের বাজারও গরম। এদিকে ঈদের বাজারের পণ্যাদি হচ্ছে : জামা-কাপড়, পোশাক-পরিচ্ছদ, শাড়ি-লুঙ্গি, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, জুতা, প্রসাধনীসামগ্রী। ঈদের বাজারে কত বিভিন্ন বর্ণ, রং এবং ডিজাইনের জামা-কাপড় ও পোশাক যে কদর পায়, তা বলে শেষ করা যায় না। এখন আদর হচ্ছে নতুন ডিজাইনের। নতুন ডিজাইনের শাড়ি ও থ্রিপিসের। জামদানি ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির চাহিদা অবশ্য বরাবরের। নরসিংদী, মাধবদী, পাবনা, রাজশাহী, রোহিতপুর ইত্যাদির শাড়ি, লুঙ্গির তাঁতীদের এখন ব্যস্ততম সময় যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এখন সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প। মুড়ি তৈরির জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের গ্রাম এখন বিখ্যাত। আনারস, কাঁঠাল, লটকন ইত্যাদির জন্য একেক অঞ্চল। বেনারসি শাড়ির জন্য এখন বিখ্যাত হয়ে পড়েছে মিরপুর। এমন করে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের একেক জায়গায় তৈরি হচ্ছে একেক পণ্য। এটা ঈদ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান আরেক দিক। রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে পরিবহন ব্যবসা। রেল বলছে, প্রতিদিন তারা দুই-আড়াই লাখ লোককে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেবে। রয়েছে বাস, লঞ্চ। ঢাকা শহরের বিরাটসংখ্যক লোক নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল ও ফরিদপুরের লোক। রয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রচুর লোক। এরা আগে ঢাকায় ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু সেতুর পর উত্তরবঙ্গের প্রচুর লোক এখন উত্তর ঢাকায়। এরা ঈদে বাড়ি যাবে। এদের সঙ্গে যাবে প্রচুর ‘ক্যাশ’। কত লোক গ্রামে যাবে? এর হিসাব করা খুবই কঠিন কাজ। দৃশ্যত ঢাকা শহর হয়ে পড়বে জনমানবশূন্য। এটা কলকাতায় হয় না। কলকাতার লোকের ‘বরিশাল’, ‘কুমিল্লা’ নেই। তারা বেড়াতে যায় ভিন্ন প্রদেশে। ঢাকা শহরের লোকেরা যায় ‘দেশে’। অর্থাৎ গ্রামের বাড়িতে। কলকাতার অধিকাংশই লোকের গ্রামের বাড়ি নেই। ঈদের পূর্বে এবং ঈদ করে ফেরার পথে লঞ্চের দৃশ্য, ট্রেনের দৃশ্য আনন্দের দৃশ্য। ট্রেনের ওপরে হাজার হাজার লোক, এই সুবিধাও কলকাতার লোকের নেই। তাদের ট্রেন সব ইলেক্ট্রিক ট্রেন। লাখ লাখ লোক আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা ছাড়বে। ছাড়বে বিভিন্ন বড় বড় শহর। সঙ্গে যাবে প্রচুর নগদ টাকা। রেমিটেন্সের টাকা, গ্রামযাত্রীদের টাকায় টাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি হবে সয়লাব। লোকেরা শুধু ঈদের জন্যই খরচ করবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য হবে, জমি বেচাকেনা হবে, বিনিয়োগ হবে। কয়েকদিনের জন্য গ্রামাঞ্চলে বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি কপাল খুলবে নছিমন-করিমনের। ভাগ্য ফিরবে মোটর-সাইকেলযাত্রী পরিবাহকদের। ইতোমধ্যে ব্যবসা করে নিয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক আমদানিকারকরা, যারা রোজার মাসের দুই-তিনেক আগে থেকেই সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, আদা, খেজুর, ছোলা ইত্যাদি আমদানির ঋণপত্র খুলেছিলেন। তাদের সঙ্গে ব্যবসা করে নিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরাও। এবারের বাজার ভাল। এখন দেশে কোন অনিশ্চয়তা নেই। সাময়িক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশে এখন স্থিতি ফিরেছে। নবোদ্যমে সবাই ব্যবসা করছে। যারা বুদ্ধিমান তারা ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়ে বিদেশে। ধনীরা এবং ব্যবসায়ীরা বহু আগেই দেশের বাইরে চলে গেছেন। বিপুলসংখ্যক ধনী লোকের ছেলেমেয়ে, এমনকি কর্মকর্তা শ্রেণীর লোকদের ছেলেমেয়েও এখন বিদেশেÑ বিলেত, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায়। বহু লোকের বাড়িঘর মালয়েশিয়ায়। অতএব হাজার হাজার লোক বাইরে ঈদ করবে, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে? এতে অনেক অনেক ডলার খরচ হবে সরকারীভাবে, বাকিটা বেসরকারীভাবে। ব্যবসায়ীরা যারা দেশে ব্যবসা করছে, যারা মল ও শপিং সেন্টারে কেনাবেচা করছে, যারা বাজারে দোকানদারি করছে, তারা সারা বছরের ব্যবসা এখনই করে নেবে। বাকি ১১ মাস তারা দোকান চালু রাখবে। এটাই এখন রীতি। রোজার মাসে ব্যবসা, ডাবল ব্যবসা। বিমানের ভাড়া অনেক সময় একেক রকম, তাতে কারও আপত্তি নেই। বাজার অর্থনীতি। চাহিদামাফিক মুনাফার হার। একইভাবে পাইকারি-খুচরা বাজারেও তাই। তবে এবার একটা জিনিস লক্ষণীয়, জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বড় বেশি বাড়াবাড়ি নেই। যা হয়েছে তা বরাবরই হয়, নতুন কিছু নয়। ঈদের বাজারে গরিবরা কেমন আছেন? তারা কিভাবে ঈদ করবেন? ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা গ্রামে যাচ্ছেন, এলাকায় যাচ্ছেন। তারা দান-খয়রাত করেন ঈদে। জামা-কাপড়, লঙ্গি, শাড়ি তারা বণ্টন করেন। কম কী? এতে সকল গরিব উপকৃত হন কী জানি না, তবে অনেকেই তো হন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকারও কিছু রিলিফওয়ার্ক ঈদ উপলক্ষে করে। কিন্তু যত কথাই বলি না কেন, বিশ শতাংশ লোক যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, তাদের ঈদই কী, আর সাধারণ দিনই কী? তাদের কিবা দিন কিবা রাত্রি। হয়ত একদিন এর শেষ হবে। ততদিন অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আরেকটি খাতের জন্য বড় মায়া হয়। পোশাককর্মীরা প্রতিবছর তাদের বেতন-ভাতার জন্য ঈদের আগে আন্দোলন করেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। ৩০-৪০ লাখ শ্রমিক। এর সিংহভাগই নারী শ্রমিক। নিতান্তই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে এরা। পেটের দায়ে চাকরি করে। এদের হাতের কাজের জন্যই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়। অথচ তাদের নির্বিঘœ ঈদ হয় না কোন বছরেই। জানি না এবার কী হবে? প্রার্থনা, এবার যেন তা না হয়। ৩০-৪০ লাখ নারী যেন নির্বিঘেœ ঈদ করতে পারে। তারা যদি বেতন ও ভাতা ঈদের আগে পায়, তাহলে এই উৎস থেকেও বাজারে যাবে আনুমানিক চার পাঁচ হাজার কোটি টাকা। মন্দ কী? পরিশেষে একটা কথা বলা দরকার। আজকের দিনে ঈদ উপলক্ষে যে রমরমা বাণিজ্য দেখছি, চারদিকে যে জৌলুস দেখছি, তা আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগেও ছিল না। এর কারণ কী? কারণ এরই মধ্যে দেশে একটি বিরাট মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্ম হয়েছে। এদের সংখ্যা কম করে হলেও চার কোটি। এক কোটিরও অধিক রয়েছে ওয়েজ আর্নার, যারা দেশে ডলার পাঠায়। নিম্নবিত্তের লোকও কম নয়। সব মিলিয়ে একটা বাজার সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ সব মানুষের মাথাপিছু আয়ও ক্রমবর্ধমান। ২০০১-০২ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্ধবছরের মধ্যে আমাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এই সময়ে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ১১৮৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই শক্তিই এখন বাজারে সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। তা না হলে উপজেলা শহরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্বর্ণের দোকান প্রতিষ্ঠিত হতো না। অবশ্য দুশ্চিন্তাও আছে। বাজার অর্থনীতি বহু লোককে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। এ নিয়ে এখন ভাবার সময়। লেখক : ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ও সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×