স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট থেকে অবসরের আগে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইউনুস খান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দেয়া পাকিস্তানের বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেই অবসর নেয়ার ঘোষণা করেছেন। চলতি মাসের প্রথম দিকেই লঙ্কানদের বিপক্ষে নিজের শততম টেস্ট খেলেন তিনি। আর পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তার অপরাজিত ১৭৭ রানের সৌজন্যেই রেকর্ড ৩৭৭ রান তাড়া করে জয় লাভ করে পাকিস্তান। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে তারা। যা ২০০৬ সালের পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড।
নিজের শততম টেস্ট ম্যাচ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউনুস খান জানান, এখনই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখতে রাজি নন তিনি। এ বিষয়ে ৩৭ বছর বয়সী পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, ‘সময় হলে আমি নিজেই চলে যাব। আমি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজ জয় দেখতে ও অবদান রাখতে চাই। আমরা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জিততে পারলে পাকিস্তান একটি মহা দলে পরিণত হবে। তাই যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে পারিনি সে কারণে অবসরের আগে আমি এটাও করতে চাই।’
পাকিস্তান সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এখন পর্যন্ত কোন সিরিজ জিততে পারেনি। ব্যাট হাতে এবং বিশেষ করে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে দক্ষ হিসেবে পরিচিত ইউনুস গত ১৫ বছর যাবতই পাকিস্তানের টপঅর্ডারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয়, দলের একমাত্র ব্যাটিং গ্রেট হিসেবেও বিবেচিত হয়ে আসছেন ইউনুস খান। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানকে (২৯) ছাড়িয়ে পাল্লেকেলেতে নিজের ৩০তম সেঞ্চুরি করেন তিনি। সেইসঙ্গে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে এটা ছিল তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ফলে ইংল্যান্ডের জিওফ্রে বয়কট ও ভারতের সুনিল গাভাস্কারের চারটির রেকর্ডও ভেঙ্গে ফেলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী জাভেদ মিঁয়াদাদের চেয়ে বর্তমানে ১৯ রানে পিছিয়ে রয়েছেন ইউনুস খান। তাই স্বদেশী সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা এখন তার কেবলই সময়ের বিষয়। তবে মিঁয়াদাদকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা তার জন্য বিশেষ সম্মানের হবে বলেই মনে করেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: