ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অব্যাহত থাক সাফল্য

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২১ জুলাই ২০১৫

অব্যাহত থাক সাফল্য

নিকট অতীতের তুলনায় দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও জীবন যাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায় শুধু সামাজিক উন্নয়নই নয়, সরকারেরও একটি ইতিবাচক অর্জন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এটা সরকারের সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতারও প্রকাশ। পাশাপাশি উন্নয়ন পরিক্রমা যে এগিয়ে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নাগরিক জীবনের অপরিহার্য এসব অনুষঙ্গের উন্নতিতে সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা গুরুত্ব বহন করে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও জীবন যাত্রার এ মানোন্নয়নের চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এক জরিপে এ চিত্রের প্রকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতার পর বিধ্বস্ত অর্থনীতির ওপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন জাতি ও দেশের পথচলা শুরু। কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের কারণে তিনি সপরিবারে নিহত হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন স্থবিরই নয়, আরও পিছিয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাসের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব প্রদানকারী দলটি দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকে নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার আগে একই নেতৃত্বে একই সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে। তারই প্রমাণ শিক্ষার হার ও জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি। বর্তমান সময়েও তা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে যে কথাটি না বললেই নয় তা হলোÑ ওই সময়টাতে দেশের অর্থনীতিকে বিনষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াত জোট নানা রকম যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সহিংস কার্যকলাপে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। সাধারণ মানুষ হত্যার মাধ্যমে সৃষ্টি করে কলঙ্কজনক অধ্যায়। অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি হয় ব্যাহত। সরকারের ইতিবাচক অর্জনের পথে সৃষ্টি করা হয় অন্তরায়। শিক্ষাব্যবস্থার ওপরও পড়ে নেতিবাচক প্রভাব। যদিও সরকার তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলে পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে সক্ষম হয়। চেষ্টা করে উন্নয়নের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে। শিক্ষার হার ও জীবন যাত্রার এ সাফল্য তারই সাক্ষ্য বহন করে। ২০০৯ সালে শিক্ষার হার ছিল ৫৮ দশমিক চার শতাংশ। সর্বশেষ প্রকাশিত জরিপে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশ। শিক্ষার হারের এ উর্ধগতিই কি প্রমাণ করে না সরকারের শিক্ষাবান্ধব মানসিকতা? যে শিক্ষার উন্নতি না হলে জাতির কোন অর্জনই হবে না। জীবন যাত্রার মানও বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। অতীতে গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ১ মাস। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ৪ মাসে। কমেছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার, বেড়েছে বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ব্যবহার বৃদ্ধিই প্রকাশ করে সরকারের নাগরিক সেবার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ও আন্তরিকতা। যা কল্যাণ রাষ্ট্র ও গণমুখী সরকারের পরিচায়ক। বর্তমান সাফল্য গণমাধ্যমগুলোয়ই সাক্ষ্য দিচ্ছে। সাফল্য অর্জনের চেয়ে ধরে রাখাটা কঠিন। সরকারের গণবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- কখনোই একার পক্ষে ধরে রাখা বা অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সকলের সম্পৃক্ততা। সরকার তার নিজ চলার পথে জনসাধারণের সম্পৃক্ততাকে অধিকতর গুরুত্ব দেবে বলে আমরা আশাবাদী।
×