ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২১ জুলাই ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

ঈদের সময়, ঈদের আগে এবং পরে রাজধানীর চিত্র অন্যান্য বছরের মতো এবারও একইরকম ছিল- এমনটা বলা যেতে পারে। ঈদের আগে ঢাকা ফাঁকা করে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায়- শহর ও গ্রামের উদ্দেশে ছুটে যাওয়া সাধারণ নিয়মে পরিণত। যারা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে ব্যর্থ হন তাদের হৃদয়ের ভেতর চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস, যারা যান না বলে আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেন তারা এবং তাদের সঙ্গে ঢাকার অন্যান্য নাগরিকরা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে আসায় ঢাকার চিরচেনা বা বলা ভাল স্থায়ী হয়ে যাওয়া রূপ বদলে যায় সাময়িকভাবে। এবার শ্রাবণে ঈদ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টির সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও বিড়ম্বনার ছন্দোময় ও দ্বন্দ্বময়- এক মিশ্র অবস্থা চলেছে। ঈদগাহে তো আর ছাদ সিস্টেম নেই, ফলে ঈদের জামাতে শামিল হতে যাওয়া মানুষের ভেতর বহুজনের বৃষ্টিতে ভেজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাবধানীরা অবশ্য রেইনকোটে আপাদমস্তক মুড়ে হাজির হন ঈদগাহে। ছাতি তো আছেই। ঈদমৌসুমে ঢাকার আরেকটি দুশ্চিন্তা বাসাবাড়ি ও মার্কেটের দোকানের নিরাপত্তা রক্ষা করা। চৌর্যবৃত্তি যাদের পেশা তারা ঢাকার এই ফাঁকা পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টা চালাবে এ তো জানা কথাই। বহু প্রতীক্ষিত ঈদের দিন পার করেই পরের দিনটা পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করার ইচ্ছা থেকে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পার্ক, দর্শনীয় স্থান ও বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করার একটা প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায় বরাবরই। সব মিলিয়ে ঈদে অবধারিতভাবে পাওয়া তিন-তিনটে ছুটির দিন ঢাকার দিন ও রাত কী ব্যস্ততার ভেতর দিয়েই না চলে যায়। এখানেও দু’রকমের অনুভূতি কাজ করে। একদল আছেন যাদের কাছে তিনটে দিন যেন মোটে একটা দিনের সময় দৈর্ঘ্য নিয়ে উপস্থিত হয়। ঈদের ছুটি শেষে মনে হয়- ইশ এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেল! আরেক দলের ছুটি যেন ফুরোতেই চায় না। তিন তিনটে দিন তাদের কাছে অলস সুদীর্ঘ এক বিরক্তি। আসলে ঈদের আনন্দ আর চাঞ্চল্য সব যেন অল্পবয়সীদেরই, বড়রা স্রেফ নিয়ম রক্ষা করে চলেন। তবু তাদের প্রাণেও যে ঈদ এসে বাঁশি বাজায় না- এ কথাও আমরা জোরের সঙ্গে বলতে পারি না। ঈদের দিন শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরও একটি বিশেষ উৎসব ছিল। আসলে এটি উৎসবের সূচনা। এটি হলো শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। রাজধানীর রাজপথে রথের দড়ি টেনে নিতে অংশ নিয়েছিলেন বহুজন। এ উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মেলা বসেছে। ২৬ জুলাই উল্টো রথের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। শেষ কর্মদিবস ২৮ রমজান বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। কাদের জন্য শেষ? যারা অফিস-আদালত-ব্যাংকে চাকরি করেন। অবশ্য আগের দিন লায়লাতুল কদর-এর জন্য সরকারি ছুটি ছিল। ঈদে ঢাকা ত্যাগকারী অনেক চাকরিজীবী ওই ছুটির দিনটার আগের দিনটাকেই শেষ কর্মদিবস বানিয়ে ঢাকা ত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। ভেবেছিলাম তাই ২৮ রমজান ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা থাকবে। কোথায় ফাঁকা! বিকেলে অফিস থেকে বেরিয়ে বোকা বনে গেলাম। রাস্তায় এত মানুষ! সবাই ব্যস্ত ইফতারির আগে ঘরে ফিরতে। পরপর কয়েকটা দোতলা বাস এলো। ঢাকা শহরে দোতলা বাস মানেই বিআরটিসির বাস। এই বাস মানেই যে সরকারী সংস্থা নিয়ন্ত্রিত পাবলিক বাস- এমন নয়। আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার স্টাফদের বহনের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে এই বাস। যে ক’টা দোতলা বাস এলো তার একটাও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নয়। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ খালি সিট নিয়ে বাসগুলো গন্তব্য অভিমুখে চলেছে। আর যে দুয়েকটা পাবলিক বাস আসছে সেগুলোর পাদানিতেও যাত্রী ওঠার স্পেস নেই। আসলে ঢাকায় এখন এত বেশি মানুষ যে অর্ধেক মানুষও যদি রাস্তায় না বেরোয় তবু রাস্তাগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই ঢাকার শেষ কর্মদিবসেও ঢাকায় পাবলিক যান-স্বল্পতা এবং প্রাইভেট যানসমূহের জট লেগে থাকা এক স্বাভাবিক বিষয় বলেই ধারণা হয়। এই সুযোগটা হাতছাড়া করেননি অনেক খালি মাইক্রোবাসের চালক। বেশি ভাড়ায় তারা যাত্রী তোলেন। মানুষ তাতেই খুশি। হোক বেশি ভাড়া, তবু তো ঘরে ফেরা যাবে ইফতারির আগে। একটা কথা না বললেই নয়, পাবলিক বাস-মিনিবাসে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে বখশিশ আদায় করা হয়। পনেরো টাকা ভাড়া হলে আপনাকে কুড়ি টাকা দিতেই হবে। শুধু কি বাসেই বোনাস চলে? মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে যাবেন। ফ্লেক্সি লোড করে দোকানি কয়েকটি টাকা বাড়তি রেখে দেবেই। এখন আর সেবাপ্রদানকারী বা এজাতীয় দোকানি ঈদের বখশিশ চেয়ে নেন না। জোরপূর্বক আদায় করে নেন। ঈদের আগের দিন শুক্রবার ঈদের আগের দিন রাজধানীর অভিজাত বিপণি বিতানগুলোয় ছিল না চিরচেনা ভিড়। রাস্তার পাশের ছোট বিপণি বিতানগুলোতে লোকজন কম বললেই চলে। সড়কে দেখা যায়নি বাসের জন্য সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা। অন্যান্য দিনের মতো ঢাকায় মানুষের ভিড় নেই। রাস্তাগুলো অনেকটাই ফাঁকা। পথে চলাচল করতে কোন ধরনের যানজটে পড়তে হয়নি কাউকে। এদিন রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহনও ছিল তুলনামূলক কম। ঈদে নিজে বাড়ি গেছেন, কিংবা নিকটাত্মীয়রা গেছেন এমন ব্যক্তির শঙ্কা, উৎকণ্ঠা আজকাল টাটকা জানা যায় ফেসবুকের মাধ্যমে। পথে বেরুলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো আর উড়িয়ে দেয়া যায় না। তার ওপর রয়েছে যাত্রাপথের নানা ঝক্কি। জ্যামে আটকে থেকে একজন লিখলেন : ‘বাড়ি যাচ্ছি । বাস এলো তিন ঘণ্টা পর। চন্দ্রা এসে তিন ঘণ্টা বাস থেমে আছে। কখন যে বাড়ি যাব! আড়াই বছর পর বাড়ি যাচ্ছি। কী এক অবস্থা!’ আরেকজনের কাছ থেকে জানা গেল : ‘যানজট! বেশ ভয়াবহ !! উপলের রাজশাহী যাবার বাস ছিল সাড়ে ৬ টায়! সেই ঢাকা থেকে ছাড়ে সকাল ১০টায়! কিছুক্ষণ আগে (বিকেলে) জানলাম ওদের অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ২৫ কিমি দূরে ! এখন চাকা বন্ধ!’ তৃতীয়জনের বক্তব্য: ‘ছোটবোন ঈদ করতে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে বগুড়া। সকালে রওনা দিয়েছে এখনো যমুনা ব্রিজে উঠতে পারেনি। পুরো পরিবার ঢাকায় বসে অস্থির উদ্বেগে কাটাচ্ছি। একটু পর পর ফোন দিচ্ছি, একটাই প্রশ্ন, গাড়ি চলছে? নাকি থেমে আছে? অদ্ভুত! প্রতিবার ঈদের সময় এই অবস্থার কথা টিভিতে, বিভিন্ন নিউজে পাই। আহাউঁহু করি। আজকে হারে হারে টের পাচ্ছি টেনশন কেমন হতে পারে! যোগাযোগমন্ত্রী প্রতিবছর ঈদের বাণী দেন মহাসড়কের যানজট বিষয়ে। এইফাঁকে ঈদও হয়ে যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। মানুষ বাড়ি যায়ই বা কেন! সম্ভবত সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। ভবিষ্যতে দলকানাদের মুখে এমন বাণীও শুনতে হতে পারে। সত্যি, সর্বংসহা বাঙালীর সহ্য ক্ষমতার প্রশংসা করতেই হয়!’ জুমাতুল বিদা এবার শেষ রোজার দিন ছিল রমজানের সর্বোত্তম দিবস শেষ শুক্রবার- জুমাতুল বিদা। দিনটি আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়। জুমাতুল বিদাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়ে থাকে। মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য সর্বাধিক। অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় জুমাতুল বিদায় মসজিদে বেশি ভিড় দেখে আসছি বরাবর। আমাদের পাড়ার তিন তলা মসজিদ পরিপূর্ণ ছিল। ঢাকার মানুষ কমেছে বটে, যদিও মসজিদে মানুষের অভাব নেই। মুসল্লিরা হাত খুলেই দান খয়রত করে থাকেন এ পবিত্র দিনে নামাজের শেষে। দুস্থ অসহায় মানুষদের বড় ধরনের ভিড় জমে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে কোন কোন দৃশ্য মনের ওপর চাপ ফেলে দেয়, মন খারাপ হয়ে যায়। ভিড় এড়ানোর জন্য কেউ কেউ খানিকটা দেরি করেই মসজিদ থেকে বের হন। এরকম একাধিক ব্যক্তিকে দেখলাম দান করতে গিয়ে কিছুটা বিব্রত হতে। একজন দাতাকে যদি ঘিরে থাকে দশজন দানগ্রহণকারী তাহলে বিড়ম্বনা স্বাভাবিক। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কমিউনিটি পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করল। এক ভদ্রলোক গলির ভেতর ঢুকে পড়েও রেহাই পাচ্ছিলেন না। পাঁচ-সাতজন তার পিছু নিয়েছিল। ভদ্রলোক যতোই বলেন তার পকেটের সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন ততই যেন পিছু নেওয়া লোকদের আকুতি বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সিকিউরিটিই রক্ষা করলেন লোকটিকে। চানরাত সত্যিকারার্থে চানরাতই হলো ঢাকার কর্মজীবীদের শেষ কর্মদিবস বা কর্মরজনী। তবে ঈদের দিনও কাজে যান এমন মানুষের সংখ্যাও কি কম? ঈদ মানেই সবার ছুটি নয়। যেমন সাংবাদিকতার পেশায় জড়িত মানুষ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টজন, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মচারীÑ এদের ছুটি নেই। কারও কারও রয়েছে অতিরিক্ত কাজ। ঈদের রাতে বুম শব্দে বিদ্যুৎ চলে গেল আমাদের পাড়ায়। বৃষ্টির ভেতর দমকা বাতাসে বিদ্যুতের তারে কিছু একটা ঠোকাঠুকি লেগেছিল। কেয়ারটেকার বিদ্যুত অফিসে ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি চলে এলো। ঘণ্টাখানিকের পরিশ্রমে বিদ্যুত সংযোগ পুনঃস্থাপিত হলো। দুপুরের কথা বলি। কোথাও বেরুবো না, ঘরে থাকব। এমন পণ করলেও দুয়েকটা জায়গায় না গেলে চলে না। ঘর থেকে বেরুতেই দেখি রিকশাঅয়ালা কাজে নেমে পড়েছেন। রিকশাঅলারা কাজে না বেরুলে আমাদের কি হাঁটতে হতো না? ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে চালকরা না বেরুলে গন্তব্যস্থানে যেতামই বা কী উপায়ে? আমি ঈদ করছি, আর আমার ঈদ উদযাপনের সুবিধার্থে কেউ ভূমিকা রাখছেন। যদিও সেটা তার বা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন। আবার আমার অনেক বন্ধু, স্বজন ও সহকর্মীর মতো তিন দিন নিরবচ্ছিন্ন ছুটি উপভোগ করা আমার পক্ষে কি সম্ভব হচ্ছে? এই যে রবিবারে পোস্ট লেখার জন্য নির্ধারিত দিনটিতে ঘরে বসে অফিসের কাজ করছি। যা হোক, চান রাতের কথায় আসি। মধ্যরাত পর্যন্ত মার্কেটগুলো প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর থাকে। সেই সাত সকালে সেলুন, বিউটি পার্লারগুলো খুলেছে, জানি বন্ধ হতে হতে মাঝরাত পেরিয়ে যাবে। রমজানে একটি মাস রাতে যারা তারাবি নামাজ পড়েছেন চানরাতে তাদের তো আর তারাবি নেই। বাড়তি সময়টুকু তাদের জন্য সুযোগ করে দেয় ঈদ নিয়ে পরিকল্পনার। চানরাত থেকেই মোবাইলে ঈদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো শুরু হয়ে যায়। আর একটি কাজও হয়। সেটি হলো মেয়েদের হাতে মেহেদি লাগানো। ঢাকায় মেহেদি পাতা বেটে কেউ কি আর মেহেদি লাগায়? এখন কত বাহারি নামে মেহেদির টিউব কিনতে পাওয়া যায়। চান রাতে মা বসে বসে মেয়েকে মেহেদি লাগিয়ে দেন। নিজের হাতেও লাগান শখ হলে। আমাদের বোন আর খালাদের দেখেছি তারা মেহেদি দিতেন সাতাশে রোজায়। নামাজ আর মেহেদি। তালগোল পাকিয়ে যেত কারও কারও। এখন সাতাশে রোজায় অল্পজনই মেহেদি লাগায় বলে ধারণা করি। চানরাতেই দেয়। একদিক দিয়ে এটাই ভাল। আগে শবেকদরের রাতে দেয়ায় মেহেদি ঈদের দিনে অনেকটাই ঝাপসা দেখাত। চানরাতে দেয়ায় দারুণ উজ্জ্বল থাকে মেহেদির রঙ! আর কত বিচিত্র নকশা! পরিবারের কেউ যদি নজরকাড়া নকশায় মেহেদি দেয়ায় পারদর্শী হয়ে থাকে তাহলে সবাই তার কাছেই আবদার জানায়। এসবই ঈদের আনন্দকে আরেকটু রাঙিয়ে দেয়ার বাসনায়। বর্ষার চাদরে ঢাকা ঈদের দিন সকাল থেকে পরদিন রবিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৯০ মিলিমিটার। এর পর মাত্রা যেন আরও বেড়েছে। রবিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৩ মিলিমিটার। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকলে বৃষ্টির ধরন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এর সঙ্গে আছে নিম্নচাপ। এর কেন্দ্র এখন আবার রাজধানী ঢাকা। এ কারণে ঢাকায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার চাদরে ঢাকা পড়ে যাওয়ায় ঈদের পরদিন ঢাকার বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় আগত শিশুরা হতাশ হয়েছে। অবশ্য পথশিশুদের আমোদে এতটুকু সমস্যা নেই। সাধারণত এদিন শিশুরা চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্কসহ নানা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যায় অভিভাবকদের হাত ধরে। ছিন্নমূল শিশুদেরও বড় সমাগম হয় বিনামূল্যে বিভিন্ন রাইডে ওঠার সুযোগ থাকায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন ক’টা দিন এমন ঝরঝর বৃষ্টি থাকবে। শ্রাবণে ধুম বৃষ্টি হবে এটাই তো কাক্সিক্ষত। বৃষ্টি মাথায় করে যারা ঢাকা ছড়েননি তারা ঢাকায় ফিরতে ফিরতে বৃষ্টিও হয়ত ধরে আসবে। ঢাকার মানুষ ঢাকায় ফিরে আসুক। ঢাকা ফিরে পাক তার চেনা চেহারা। ১৯ জুলাই ২০১৫ [email protected]
×