স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরল রেখার মতো সহজ ভাষায় গল্প কিংবা উপন্যাস লিখে পাঠকের মনে দাগ কেটেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। মেদহীন ও ঝরঝরে রচনাশৈলীতে পাঠককে মোহাবিষ্ট করে পরিণত হয়েছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জননন্দিত লেখকে। গল্প-উপন্যাসের মতো একইভাবে নাটক বা সিনেমা নির্মাণেও রেখেছেন সমান দক্ষতার ছাপ। এমনকি তাঁর রচিত অনেক গানও হয়েছে তুমুল শ্রোতাপ্রিয়। রবিবার ছিল বরেণ্য এই কথাশিল্পীর তৃতীয় প্রয়াণবার্ষিকী। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের অকৃত্রিম ভালবাসায় পালিত হলো দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী। লেখকের পরিবারের সদস্যরা ইফতার মাহফিল ও কোরআন খতমের মধ্য দিয়ে স্মরণের আয়োজন করে।
দিনভর বৃষ্টির মাঝেও নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে তার পরিবার ও ভক্তরা। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। রবিবার দুপুরে হুমায়ূন আহমেদের প্রাণপ্রিয় গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে লেখকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিদ। এ সময় শাওনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন সেঁজুতি ও নাট্যকার চয়নিকা চৌধুরী। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় কয়েকটি এতিমখানার ছাত্রদের নিয়ে নুহাশ পল্লীতে লেখকের কবর জিয়ারতের পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বর্ষণমুখর দিনটিতে হুমায়ূন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগীও উপস্থিত হয়েছিলেন নুহাশ পল্লীতে। দুপুরের পর হুমায়ূন আহমেদের দুই ছোট ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব এবং তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ নিজেদের সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র হিমুপ্রেমীরা সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে হলুদ পাঞ্জাবি ও নীল শাড়ি পড়ে নুহাশ পল্লীতে হাজির হন। এই তরুণ-তরুণীরা লেখকের কবর জিয়ারতের পাশাপাশি ক্যান্সার সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন।
লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোনায় নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক র্যালি ও কালোব্যাজ ধারণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলায় লেখকের হাতেগড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ এসব কর্মসূচী পালন করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: