ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিষ্যদের মেধা খাটিয়ে খেলার পরামর্শ টাইগার কোচের

প্রোটিয়া পেসাররাই বড় চ্যালেঞ্জ ॥ হাতুরা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২১ জুলাই ২০১৫

প্রোটিয়া পেসাররাই বড় চ্যালেঞ্জ ॥ হাতুরা

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ ভাল ক্রিকেট খেলার বিষয়ে ছন্দের একটা বিষয় বার বারই ঘুরে ফিরে আসে। একবার ছন্দ, তাল ও লয় হারিয়ে ফেললে সহজে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলা যায় না। কিন্তু সেটা মানতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহে। তিনি মনে করেন তাল ও ছন্দের বিষয়টা যদি খুব বেশি বিশ্বাস করা হতো সেক্ষেত্রে সিরিজের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা তিন ম্যাচ হেরেও ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারত না বাংলাদেশ। কিন্তু এবার পাঁচদিনের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট। এ ফরমেটেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চান হাতুরাসিংহে। দারুণভাবে শুরু করে প্রতিপক্ষকে ফেলতে চান চাপে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলিং আক্রমণকে। সেটাকে দলের ব্যাটসম্যানরা সামাল দিতে পারলেই ভাল কিছু বেরিয়ে আসবে টেস্ট ম্যাচেও। আর নিজেদের পেস বোলিং বিভাগ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী হাতুরাসিংহে ঘোষণা দিলেন প্রোটিয়া শিবিরের ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশী বোলারদের। সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং বিভাগ বিশ্বমানের। তাদের দলে রয়েছে ডেল স্টেইন, ভারনন ফিল্যান্ডার ও মরনে মরকেলদের মতো বিশ্বের ভয়ঙ্করতম পেসাররা। আর এটাকেই আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন হাতুরাসিংহে। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে তাদের বোলাররা। টেস্টে তাদের বিশ্বমানের আক্রমণ বিভাগ আছে। ফলাফল বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা কিভাবে তাদের ফাস্ট বোলারদের সামাল দেয় সেটার ওপর।’ তবে প্রোটিয়া বোলিং যতই ভয়ঙ্কর হোক দলের খেলা মনোভাব আক্রমণাত্মক রাখতে চান হাতুরাসিংহে। বিশ্বমানের কয়েক ব্যাটসম্যান ও বোলার থাকায় দারুণ আশাবাদী হাতুরাসিংহে বলেন, ‘উঁচু দলের খেলার দিকেই মনমানসিকতা রাখতে হবে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখে আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। তাছাড়া আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী আমাদের টেস্ট দল নিয়ে। আমাদের সত্যিই কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় আছেন যারা এ পরিবেশের সঙ্গে খুব ভালভাবেই মানিয়ে নিতে পারেন। তিনি (মুমিনুল) দলে আসায় আমাদের টপঅর্ডারে একটা স্থিতি এসেছে। গত সিরিজে রান পাওয়াদের মধ্যে ইমরুল কায়েসও আছেন। আমি যদি ছন্দের ওপর বিশ্বাস করি, আমি মনে করি না তিন ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম। খেলা চলার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পরিকল্পনাটাকে প্রয়োগ করতে পারাই আসল। আমাদের ভালভাবে শুরু করতে হবে এবং প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে বড় মুহূর্তগুলো কাজে লাগানো এবং পরিস্থিতি পেরিয়ে যাওয়া।’ দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবেলা করার জন্য দলের সঠিক সমন্বয়টা বের করা জরুরী। খেলা হবে এসজি বলে যেটার আচরণ অনুসারে এবং কন্ডিশন বিবেচনায় হাতুরাসিংহে মনে করছেন ম্যাচের শেষ দু’দিন রিভার্স সুইং হতে পারে। সবকিছু বিবেচনায় দলের সমন্বয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘শেষ দু’দিনে রিভার্স সুইং হতেও পারে। এসজি বলগুলো এমনই হয়। আমাদের সঠিক সামঞ্জস্যটা বের করতে হবে। আমরা ভাল একটা টেস্ট ক্রিকেট উপহার দিতে পারি যদি আমরা নিজেদের দায়িত্বটা পালন করে ধারাবাহিক নৈপুণ্য প্রদর্শন শুরু করতে পারি। পূর্বে কি ঘটেছে সেটার সঙ্গে আমি তুলনা করতে পারি না। এখন আমাদের একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ আক্রমণভাগ আছে যারা ২০ উইকেট নিতে পারি।’ গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবহাওয়া পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। এ বিষয়ে হাতুরাসিংহে বলেন, ‘আমরা পরিবেশের সঙ্গে খেলি না। আমরা শক্তিমত্তা অনুসারে খেলি, কারণ দুই ঘণ্টার মধ্যে কন্ডিশন পাল্টাতে পারে। আমরা শুধু দুই ঘণ্টার জন্য পরিকল্পনা করতে পারি না, এটা পাঁচদিনের ক্রিকেট। আমাদের শক্তি যদি হয় স্পিন, আমরা স্পিন নিয়েই পড়ে থাকব।’
×