ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি-জামায়াত কৌশল

কক্সবাজারে ঈদে ভিজিএফ চাল বিতরণ হয়নি তিন ইউনিয়নে

প্রকাশিত: ০৭:০১, ২১ জুলাই ২০১৫

কক্সবাজারে ঈদে ভিজিএফ চাল বিতরণ হয়নি তিন ইউনিয়নে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সরকারী বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিএনপি-জামায়াতপন্থী কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যানের কারণে এবারের ঈদে ভিজিএফ চাল পায়নি বহু গরিব জনসাধারণ। অসচ্ছল মানুষগুলো যাতে ভালভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে, এজন্য প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে সরকার। কয়েক ইউপি চেয়ারম্যান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে জনসাধারণের মধ্যে ওইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি-জামায়াতের ওইসব ষড়যন্ত্র নিষ্ফল আবেদন বলে জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, বিএনপি গত তিন মাস ধরে অবরোধ-হরতালের ডাক দিয়েও জনগণের সাড়া পায়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ না করায় জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওইসব চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী ইউপি চেয়ারম্যানরা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির চেষ্টা করলেও তাদের এ ষড়যন্ত্র জনগণ বুঝতে পেরেছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা রিয়াজ-উল আলম জানান, ঈদ উৎসব উপলক্ষে রামুতে বিতরণের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে দুইশ’ জনের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব ভিজিএফ চাল বিতরণ করেনি। ঈদে মানবপাচারকারীরা ফের প্রকাশ্যে! পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে প্রায় দুই মাস ধরে পালিয়ে বেড়ালেও মানবপাচারকারী দালালরা হঠাৎ এলাকায় ফিরে এসে ঈদের আনন্দ উপভোগ ও অনেকের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানবপাচারকারী গডফাদার ও দালালদের অনেকে পুলিশী গ্রেফতার উপেক্ষা করে শোডাউন করায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে ওইসব মানবপাচারকারী গডফাদার ও দালালদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন, কয়েক মানবপাচারকারীকে ঈদের দিন সকাল থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকাশ্যে সোনারপাড়া ও কক্সবাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। ওইসব দালালদের বিরুদ্ধে রয়েছে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা। সূত্র জানায়, একাধিক মামলার পলাতক আসামি সময়ের আলোচিত মহিলা দালাল রেজিয়া আক্তার প্রকাশ রেবি ম্যাডামের স্বামী নুরুল কবির, ফয়েজ সিকদার, বেলাল মেম্বার, আবুল কালাম, কালা জমির, রুস্তম আলী, ছৈয়দ আলম, মাহমুদুল হক প্রকাশ মাদু, জালাল প্রকাশ শাহজালাল, মুসলেম উদ্দিন, আবদুল্লাহ, আকতার মিয়া, সাগর আলী, ফরিদ মাঝি, মুজিবুল হক, লিংকরোডের নাসির ও শহরের সমিতিপাড়ার রাশেদকে ঈদ-উল-ফিতরের আগে ও পরে কক্সবাজার, সোনারপাড়া, সোনাইছড়ি ও ছেপটখালী এলাকায় নির্ভয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
×