ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. আর এম দেবনাথ

ভারত ॥ উন্নয়ন ও বঞ্চনা- অমর্ত্য সেন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৪ জুলাই ২০১৫

ভারত ॥ উন্নয়ন ও বঞ্চনা- অমর্ত্য সেন

মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী- এই চার গান্ধীর মধ্যে কে জীবিত আছেন? এর উত্তর দিতে পেরেছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী। বাকিরা পারেনি। এটা কোন্ দেশের ঘটনা? বলা বাহুল্য ভারতের। ‘ভারত উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ নামীয় এক গ্রন্থে এই ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। গ্রন্থকারদ্বয়ের নাম জঁ দ্রেজ ও অমর্ত্য সেন। গ্রন্থটির প্রথম বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে, ইংরেজীটি ২০১৩ সালে। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পরিবেশন ও বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তারা বলেছেন, ভারতের ৮৩টি ‘সেরা’ বিদ্যালয়ে একটি জরিপ করা হয়। সেই জরিপের ফল হচ্ছে এটা। দেখা যাচ্ছে উত্তরদাতা ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশ বলেছে মহাত্মা গান্ধীই জীবিত। জরিপটি করা হয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। এদের দুই-তৃতীয়াংশ জানে না কিভাবে রুলার দিয়ে একটি পেন্সিলের দৈর্ঘ্য মাপতে হয়। এই জরিপের পূর্বে করা আরেকটি জরিপের কথা উল্লেখ করে অমর্ত্য সেন আমাদের জানাচ্ছেন চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় অর্ধেক শিশুই এক অঙ্কের গুণ বা সহজ ভাগ করতে পারছে না। নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের কোন ধারণাই নেই। গ্রন্থটির সারণিতে দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সরকারী স্কুলে ভর্তি ৮-১১ বছর বয়সী শিশুদের মাত্র অর্ধেক শিশু তিনটি বাক্য নিয়ে গঠিত একটি সহজ অনুচ্ছেদ পড়তে পারে। ৩৬ শতাংশ শিশু ‘আমার মায়ের নাম মধুবেন’-এর মতো একটি সরল বাক্য লিখতে পারে না। গ্রন্থটিতে ভারতের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে জানা যায় এমন প্রচুর তথ্য ও বিশ্লেষণ রয়েছে। শুধু শিক্ষার কথা বলছি কেন স্বাস্থ্য, সামাজিক সুবিধা, শৌচ সুবিধা, উন্নয়ন, জিডিপি, সুশাসন, দুর্নীতি, অসাম্য, দারিদ্র্য থেকে শুরু করে বহু বিষয় আলোচ্য গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে। ‘জনকণ্ঠ’র পাঠকরা উপকৃত হতে পারেন ভেবে আমি কিছু কিছু বিষয় এখানে উল্লেখ করছি। শিক্ষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমর্ত্য সেন বলছেন : ‘ভারতের স্কুল শিক্ষার অবস্থাটা ভয়াবহ।’ পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে আমাদের এক ধরনের ধারণা আছে। অতএব এর একটা তথ্য এখানে দেয়া যায়। সেখানে সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৮-১০ বছরের শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫১ শতাংশ পড়তে পারে। ৫৬ শতাংশ বিয়োগ করতে পারে। ৭২ শতাংশ লিখতে পারে। অমর্ত্য সেন প্রশ্ন করছেন, এই দুরবস্থার জন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কোন কারণ? না, তা আদৌ নয়। তিনি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে বলছেন, বর্তমানে ভারতে সরকারী স্কুলের বেতন বেসরকারী স্কুলের তুলনায় এবং আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতেও বেশ চড়া। ভারতের শিক্ষকদের মাথাপিছু আয় দেশের গড় আয়ের তিনগুণ। পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায়ও তা বেশি। উত্তরপ্রদেশের শিক্ষকদের বেতন সেই প্রদেশের লোকদের মাথাপিছু আয়ের ১৭ গুণ। এসব তথ্য দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন শিক্ষকদের বেতন ও ভাতার সঙ্গে শিক্ষার গুণগতমানের কোন সম্পর্ক নেই। ভারতের প্রাথমিক শিক্ষার এই অবস্থার কারণ কী সে সম্বন্ধে অমর্ত্য সেন বলছেন, শিক্ষার প্রতি অবহেলাই এর কারণ। ‘এই অবহেলার পেছনে ছিল ভারতীয় সমাজের নিজস্ব সুচিন্তার অভাব। এটা বাস্তবিকই দেশজ নির্বুদ্ধিতা, এর একটা বড় কারণ ছিল জনসাধারণের শিক্ষার প্রতি উচ্চশ্রেণীর এবং উচ্চবর্ণের মানুষের অবজ্ঞা ও ঔদাসীন্য।’ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করে অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন শিক্ষার সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক কী। জাপানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলছেন, ১৮৬৮ সালে জাপানে ‘মেইজি রেস্টোরেশন’ পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে জাপানের সাক্ষরতার হার ছিল ইউরোপের চেয়ে বেশি। ১৯০৬-১১ সালে জাপানে মোট বাজেটের ৪৩ শতাংশ বরাদ্দ ছিল শিক্ষায়। বিংশ শতাব্দীজুড়ে জাপানের যে উত্থান এবং আজও যে জাপানকে দেখছি আমরা তা এরই ফলÑ এ কথা বলতে কারও আর দ্বিধা থাকার কথা নয়। অমর্ত্য সেন বলছেন, ভারত গর্ব করছে তার কতিপয় ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে। এসব ‘এলিটিস্ট’ শিক্ষায়তনে পরিণত হয়েছে যার সঙ্গে দরিদ্র ভারতের কোন সম্পর্ক নেই। ড. সেন গত ১১৫ বছরের তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন ভারত কিভাবে ধীরে ধীরে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করে চলেছে। ১৯০০ সাল থেকে স্বাধীনতার (১৯৪৭) পূর্ব পর্যন্ত ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৯ ভাগ। ১৯৫০-৬০ সালের দিকে তা ৩ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়। এই ৩ থেকে ৪-এর ঘরে ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধির হার আটকে থাকে ১৯৮০-৮১ অর্থবছর পর্যন্ত। প্রায় ৩০ বছরের মামলা। ৫ শতাংশের ঘরে আটকা থাকে পরবর্তী ২০ বছর। ১৯৮০-৮১ থেকে ১৯৯০-৯১ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ২ ভাগ। পরবর্তী দশকে তা ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে একটা বড় উল্লস্ফন দেখা দেয় ২০০০ সাল থেকে। ২০১০-১১ পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশে। মাঝখানে ৫ শতাংশে নেমে আবার ৭-এর কোটায় এখন প্রবৃদ্ধির হার। এই প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ভারতের সামাজিক সূচকগুলো দেখলে বোঝা যাবে ভারত এখনও এশীয় অনেক দেশের তুলনায়, এমনকি বাংলাদেশের তুলনায়ও নিচে। ভারতের গড় আয়ু ৬৬ বছর, শিশুমৃত্যু এক হাজারে ৪৪, মেয়েদের সাক্ষরতা ৬৫ শতাংশ, পুরুষদের ৮২ শতাংশ, দারিদ্র্যসীমার নিচে লোকের সংখ্যা গ্রামাঞ্চলে ২২ শতাংশ। এসব সূচকের ভিত্তিতে চীন ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অমর্ত্য সেন বলছেন, সার্ক দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান সবচেয়ে নিচে। নিচের দিক থেকে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ‘ভারত : উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ গ্রন্থের অধ্যায়গুলোর ক্রমানুসারে ধারাবাহিক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে চীন বিদ্যুতে নিয়োগ করছে সরকারী খাতে, অথচ ভারতে বেসরকারী খাতে বিদ্যুত আছে। চীনে ১৯৫৯-৬২ সালের দিকে দুর্ভিক্ষে প্রাণ হারায় তিন কোটি লোক। ভারতে ১৯৪৩ সালে ২০-৪০ লাখ লোক দুর্ভিক্ষে মারা যায়। ভারতে কখনও সামরিক শাসন আসেনি। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর দেশটি তিনবার যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় দিতে হয়েছে। ভারতে শ্রমিকের মজুরি প্রায় স্থবির হয়ে আছে। এদিকে দেখা যায়, সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা ভারতে সর্বোচ্চ। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো ব্যস্ত ‘কতিপয় সাফল্য প্রচারে’। তারা বঞ্চনা-বৈষম্য ইত্যাদির খবর বড় একটা ছাপে না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন জাত-পাতের কথা। তিনি লিখছেন, উত্তর ভারতে সমস্ত প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পদাধিকারীদের মধ্যে উচ্চবর্ণের অনুপাত ৭৫ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা, কর্পোরেট বোর্ড, বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান, এমনকি ক্রিকেট দলেও উচ্চবর্ণের আধিপত্য এবং দলিত, আদিবাসী ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মানুষ এখনও প্রায় অনুপস্থিত। পেশাদার সাংবাদিকদের বড় অংশই জাতিবর্ণ ও গোষ্ঠীগতভাবে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অংশ থেকে। এর ফল কী? ফল হচ্ছে যেহেতু এরা ভুক্তভোগী নয় এবং উঁচুশ্রেণীর লোক তাই তারা গরিরের দুঃখ, বঞ্চনার কথা, দরিদ্র ভারতের কথা বলতে ও লিখতে চায় না। বাজার অর্থনীতি সম্পর্কে অমর্ত্য সেন বলছেন, এই ব্যবস্থার ফলগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয়। তাঁর মতে, ভারতের বাজার ব্যবস্থার মূল গলদ বণ্টনগত বৈষম্যে। তাছাড়া রয়েছে অতিক্রিয়া বা ‘এক্সটারনাল’ কারণ এবং জ্ঞানভিত্তিক অসমতা বা অসঙ্গতি। জাত-পাতের বৈষম্য বাজার অর্থনীতির প্রবল বাধা। ড. আম্বেদকরের বক্তব্য উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলছেন, ভারতের ‘জাতব্যবস্থা’টি কেবল ‘শ্রম বিভাজন নয়, শ্রমিক বিভাজনও।’ এতে অসাম্যের সৃষ্টি হয়, বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। বৈষম্য টিকিয়ে রেখে ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। দুর্নীতি সম্পর্কেও অমর্ত্য সেন তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন গ্রন্থটিতে। তিনি লিখছেন, ‘অনেক সময় পরামর্শ দেয়া হয় দুর্নীতি দমনের জন্য একটা অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হোক যার ওপর আদালতেরও কর্তৃত্ব থাকবে না। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।’ ড. সেন ও জঁ দ্রেজ তাঁদের গ্রন্থে মোট দশটি অধ্যায়কে স্থান দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে : নতুন ভারত?, আয়বৃদ্ধি ও উন্নয়ন, তুলনামূলক প্রেক্ষিতে ভারত, দায়বদ্ধতা ও দুর্নীতি, শিক্ষার গুরুত্ব, স্বাস্থ্য সঙ্কট, দারিদ্র্য ও সামাজিক সহায়তা, অসাম্যের গ্রাস, অসাম্য ও গণবিতর্ক এবং ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গতে হবে। এই দশটি অধ্যায়ের প্রত্যেকটিতে রয়েছে বহুসংখ্যক তথ্যসারণি। গ্রন্থটির মূল সুর একটা। ‘উন্নয়ন’ করলেই দারিদ্র্য যায় না, যদিও আয়বৃদ্ধি দরকার। ‘উন্নয়ন’ করলেই অসাম্য ও বৈষম্য শেষ হয় না। তিনি অসাম্য ও বৈষম্যকেই চিহ্নিত করেছেন ‘বঞ্চনা’ হিসেবে। প্রশ্ন, এই বৈষম্য ও অসাম্য অথবা বঞ্চনা ঠিক রেখে কি প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব? তাঁর মতে, তা সম্ভব নয়। তিনি জোর দিয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর। তিনি জোর দিয়েছেন শুধু ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধির ওপর নয়। এর পাশাপাশি দরকার সামাজিক অগ্রগতি যাকে আমরা হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (এইচডিআই) বলি। সাক্ষরতা, নারী সাক্ষরতা, শিশুমৃত্যু হ্রাস, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, শৌচব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সুযোগ, আবাসন, পুষ্টিÑ এসব মিলিয়ে যে উন্নয়ন তাই হচ্ছে প্রকৃত উন্নয়ন। তিনি তাঁর গ্রন্থের পাতায় পাতায় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করে ভারতের অবস্থা তুলে ধরেছেন। কোথায় সমস্যা তা চিহ্নিত করেছেন। করেছেন নির্মোহভাবে। বাজার অর্থনীতির মূল সমস্যা কী তার কথা বলেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্যকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার কশাঘাত থেকে কী করে মানুষকে বাঁচানো যায় তার কথা বলেছেন। বাজার অর্থনীতির সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। যে ভারত বিশেষ করে বাংলা প্রদেশ ১৭৫৭ সালের পূর্বে পশ্চিমে চাল ও শিল্পপণ্য রফতানি করত, যে বাংলা প্রদেশের তাঁতীদের মজুরি ছিল গ্রেট ব্রিটেনের তাঁতীদের মজুরি থেকে অনেক বেশি, সেই ভারত আজকের অবস্থায় নিপতিত কিভাবে হলোÑ এটাও তাঁর প্রশ্ন। তিনি এক্ষেত্রে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, যথা : জাত-পাতের কারণে ‘বাজার’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেনি, ছিল মুঘলদের অতিকেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা। সর্বোপরি ইংরেজদের বিত্তহরণ ব্যবস্থা। তিনি বলছেন, এখন ভারতের দায়িত্ব প্রধানত দুটো। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য হ্রাস করা এবং জনপরিষেবায় দায়বদ্ধতা আনা। সরকারী উদ্যোগকে সুপরিচালিত করা দরকার। সবশেষে গ্রন্থের পেছনের প্রচ্ছদে বলা হয়েছে : ‘ভারতের বিপুল সমস্যাবলীর মোকাবেলা করতে গিয়ে কেউ কেউ দেশের দীর্ঘ গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতাটাকেই বিসর্জন দিতে প্রলুব্ধ হয়ে ওঠেন। এত এত লোকের সংগ্রামের ফলে অর্জিত আমাদের এই গণতন্ত্র, যা ইতোমধ্যে অনেক সুফলেরও জন্ম দিয়েছে, তাকে পরিত্যাগ বা খর্ব করা কিন্তু কোন বাস্তব, যুক্তিভিত্তিক কারণ নেই। ... কোন ‘নতুন ভারত’-এর অনুষ্ঠান হয়, যেটা জরুরী তা হলো এক নতুন ভারত গড়া।’ এর জন্য গ্রন্থকারদ্বয় একটা অধ্যায় নিবেদিত করেছেনÑ এর নাম ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গতে হবে’। এ্যামব্রোস বিয়ার্সের উদ্ধৃতি দিয়েছেন তাঁরা এক্ষেত্রে : ‘ধৈর্য হলো গুণের ছদ্মবেশে হতাশার একটা ক্ষুদ্র রূপ’। লেখক : ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ও সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×