আল কায়েদার বাইরের হামলার চেয়ে বিক্ষুব্ধ আমেরিকানদের সহিংসতায় উস্কে দেয়ার জন্য ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরও বড় সন্ত্রাসী হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি বুধবার এ কথা বলেছেন। খবর ওয়েবসাইটের।
এ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামে শ্রোতাদের উদ্দেশে জেমস কোমি বলেন, আইএস সারাবছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার অভিযান চালিয়ে এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমেরিকান মুসলিমদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে প্ররোচিত করেছে। তিনি বলেন, যে সকল মুসলিমরা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারছে না, তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছেÑ তোমরা ‘যেখানে অবস্থান করছে সেখানেই হত্যা চালিয়ে যাও।’ তিনি বলেন, এ সন্ত্রাসী গ্রুপটির টুইটার থেকে জানা যায়, সারাবিশ্বে আইএসের ইংরেজীভাষী অনুসারী রয়েছে ২১ হাজারের বেশি এবং এদের মধ্যে মার্কিন মুসলিম নাগরিক হবে কয়েক হাজার। সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে এক খিলাফত রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে আইএস।
পরিচালক বলেন, যারা উগ্রপন্থীতে পরিণত হয়েছে তাদের মধ্যে অনেককে গত ৮ সপ্তাহে গ্রেফতার করেছে এফবিআই। তিনি বিস্তারিত না বলে আগের মতোই বলেন, ৪ জুলাই ছুটির দিন হামলার জন্য যারা পরিকল্পনা করছিল তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যুরো সারাদেশে এ ধরনের কয়েক শ’ তদন্ত শেষ করতে পারেনি এখনও। কোমি বলেন, চ্যাটানুগা শহরে বন্দুকধারী মুহম্মদ ইউসেফ আবদুল আজিজ কিভাবে উগ্রপন্থীতে পরিণত হয়েছিল, তা এখনই বলা যাবে না। এই বন্দুকধারী গত সপ্তাহে ৫ মার্কিন সৈন্যকে হত্যা করেছে। তার আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছে, মাদক গ্রহণের অভ্যাস ছিল আজিজের এবং মানসিক চাপে ভুগছিল সে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ আল কায়েদার হামলা আইএসের হুমকিতে ম্লান হয়ে পড়েছে কিনা, এর জবাবে কোমি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৮ থেকে ৬২ বছর বয়সের কয়েক ডজন আমেরিকান মুসলিমকে চিহ্নিত করেছে, যারা আইএসের সঙ্গে লড়াই করতে সিরিয়া ও ইরাক গেছে।
তিনি বলেন, আইএসের সংগ্রহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের আড়িপাতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় গোপন সঙ্কেতপূর্ণ সফটওয়্যার ব্যবহার করছে বলে অনেক কিছুই জানা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমি। কোমি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের উগ্রপন্থী হওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: